কি খেলে টিউমার ভালো হয় ‌‍‌‍-টিউমার ভালো করার উপায় - TAHABLOG

আসসালামু আলাইকুম প্রিয় পাঠক পাঠিকা আপনারা যারা, কি খেলে টিউমার ভালো হয় এই বিষয়ে জানতে চান তারা সঠিক জায়গায় এসেছেন। আমাদের এই পোস্টে আলোচনা করা হয়েছে কি খেলে টিউমার ভালো হয় টিউমার ভালো করার দোয়া টিউমার হলে কি ব্যথা হয় টিউমার সরানোর ঘরোয়া উপায় টিউমার কত প্রকার কি কি। সুতরাং আমাদের এই পোস্ট মনোযোগ সহকারে পড়লে আপনারা বুঝতে পারবেন কোন কোন খাবারগুলো খেলে টিউমার ভালো হয় বা কি খেলে টিউমার ভালো হয়।
কি খেলে টিউমার ভালো হয় ‌‍‌‍-টিউমার ভালো করার উপায় - TAHABLOG

পোস্ট সূচিপত্র ঃ কি খেলে টিউমার ভালো হয় ‌‍‌‍ tahablog

কি খেলে টিউমার ভালো হয় ভূমিকা
টিউমার কত প্রকার এবং কি কি
টিউমার ভালো করার দোয়া
কি খেলে টিউমার ভালো হয় তার কয়েকটি খাদ্য তালিকা
টিউমার সরানোর ঘরোয়া উপায় - টিউমার ভালো করার উপায়

কি খেলে টিউমার ভালো হয় ভূমিকা

টিউমার হল মানব শরীরে জন্ম না অতিরিক্ত মাংস কোষ। এই কোষ আমাদের শরীরের জন্য কোন উপকারে আসে না বরং এই কোষ আমাদের শরীরের জন্য মারাত্মক রোগ সৃষ্টিকারীর বাহন হিসেবে কাজ করে। কোন একটি রোগ থেকে মুক্তি লাভের উপায় জানার আগে আমাদের জানা উচিত ওই রোগটি কেন হয়। 
আমাদের শরীরের বিভিন্ন কোষ গুলো ক্রমাগত বিভক্ত হয়ে যায় এবং তা মারা যায়। যার ফলে পরবর্তীতে অন্য কোষ সৃষ্টি হয়। অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায় যে অন্য কোচ সৃষ্টি হয় কিন্তু পুরনো কোষগুলো সম্পূর্ণভাবে নষ্ট হয় না। যার ফলে এই কোষগুলো জমাট বেঁধে টিউমার এ পরিণত হয়।

টিউমার কত প্রকার এবং কি কি

টিউমারকে সাধারণত তিন ভাগে ভাগ করা যায়।
  1. হিস্টোমা বা কানেকটিভ টিস্যু টিউমার
  2. সাইটোমা টিউমার
  3. টেরাটোমা বা মিক্সড সেল টিউমার
হিস্টোমা টিউমারকে ২ ভাগে ভাগ করা যায় 
 
বিনাইন টিউমার 
মালিগন্যান্ট টিউমার  

টিউমার ভালো করার দোয়া

টিউমার ভালো করার দোয়া বা টিউমার ভালো হওয়ার আমল। সাতবার দরুদ শরীফ পাঠ করবেন তারপর সাতবার সূরা ফাতেহা পাঠ করবেন  আউযুবিল্লাহ বিসমিল্লাহ সহ। তারপর নিম্নলিখিত দোয়াটি  পড়বেন।
আসআলুল্লাহাল আযীম রাব্বাল আরশিল আযীম আই ইয়াশ ফিয়াকা।
আবু দাউদ শরীফের ৩১০৬।

কি খেলে টিউমার ভালো হয় তার কয়েকটি খাদ্য তালিকা

আমরা আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় যেসব খাদ্য খায় তা কেবল আমাদের দেহের শক্তি যোগায় যোগায় না বরং এর পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে। প্রতিটি খাবারের নিজস্ব পুষ্টিগুণ আছে যার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা সৃষ্টি করে। প্রাকৃতিকভাবে যে সকল খাদ্য আমরা পেয়ে থাকি তারমধ্যে পাঁচটি খাদ্য উল্লেখ করবো যা টিউমারের বিরুদ্ধে প্রতিরোধকারী ভূমিকা পালন করে।

টিউমার ভালো করতে পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজি
পাতাযুক্ত সবুজ শাকসবজিতে এমন কিছু খাদ্য উপাদান রয়েছে যেগুলো নিয়মিত শরীরে প্রবেশ করলে আমাদের শরীরে থাকা টিউমার গুলো আস্তে আস্তে অকার্য কর হয়ে পড়বে। যেমন হেলেঞ্চা শাক পালং শাক লেটুস কর্ডা গ্রিন দেশীয় শাকসবজি নিয়মিত খাদ্য তালিকায় রাখতে পারেন। শাকসবজি শুধু টিউমার প্রতিরোধে কাজ করে তা নয় বরং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াই ও সুস্বাস্থ্যের অধিকারী হতে হলে শাকসবজি পশুর পরিমাণে খেতে হবে।

টিউমার ভালো করতে মাছ
বাঙ্গালীদের কাছে মাছ একটি পছন্দের খাবার এজন্য আমাদেরকে মাছের পেটে বাঙালি বলা হয়। নদীমাতৃক দেশ হিসেবে বাংলাদেশে অনেক বেশি পরিমাণে মাছ পাওয়া যায় এবং সহজলভ্য খাবার হিসেবে আমরা অনেকে মাছ খেতে পছন্দ করি। বাসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ মিনারেল। এছাড়া মলাঢেলা মাছগুলোতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ থাকে যা আমাদের চোখের দৃষ্টি শক্তির জন্য খুবই কার্যকরী। এর পাশাপাশি মাছ থাকা ওমেগা-৩ এবং বিদ্যমান ফ্যাটি এসিড অ্যান্টি টিউমার ও এন্টি ক্যান্সার বৈশিষ্ট্য সম্পন্ন। এছাড়াও কেমোথেরাপীর বিভিন্ন পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া এড়াতে এই মাছগুলোর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে।

টিউমার ভালো করতে হলুদ
আমাদের দৈনন্দিন খাদ্য তালিকায় এই মসলা জাতীয় খাবারটি প্রতিদিনই ব্যবহার করে থাকি। হলুদ সাধারণত মসলা জাতীয় খাবার। হলুদে থাকা কারকিউমিন যা মানব দেহের প্রধান জনিত সমস্যা প্রতিরোধ করতে সক্ষম। মানব শরীরে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে হলুদ ।

টিউমার ভালো করতে মাশরুমের ভূমিকা
আমরা যে সব পুষ্টিকর খাদ্য খেয়ে থাকি মাশরুম তার মধ্যে অন্যতম একটি। মাশরুম  অধিক পরিমাণে ভিটামিন আছে। মাশরুম টিউমারের বিরুদ্ধে অধিক পরিমাণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা তৈরি করতে সক্ষম। প্রতি ১০০ গ্রাম মাশরুমে প্রায় ৩০ গ্রাম প্রোটিন বিদ্যমান। যেখানে 100 গ্রাম মাছের প্রোটিন পাওয়া যায় ১৬ থেকে ২২ গ্রাম ১০০ গ্রাম মাংসে প্রোটিন পাওয়া যায় ২২ থেকে ২৫ গ্রাম এবং ১০০ গ্রাম ডিমে প্রোটিন পাওয়া যায় মাত্র ১৩ গ্রাম। এ থেকে বোঝা যায় যে প্রোটিন পাওয়ার জন্য মাশরুমের ভূমিকা অপরিসীম।

টিউমার সরানোর ঘরোয়া উপায় - টিউমার ভালো করার উপায়

আমাদের শরীরে যখন টিউমার ব্যাপক আকার ধারণ করে তখন তার চিকিৎসা করার প্রয়োজন পড়ে। আপনারা জানেন যে টিউমার চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে গেলে সেটা কে অপারেশন করতে হয় অথবা কেমোথেরাপির ব্যবস্থা করতে হয় যেটা করতে গেলে আমাদের অনেক খরচের সম্মুখীন হতে হয়।

তাই আজ আমরা আলোচনা করব কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে টিউমার সারানো যায় বা টিউমার ভালো করার উপায় এই বিষয়টি নিয়ে, চলুন তাহলে দেখা যাক কিভাবে ঘরোয়া উপায়ে টিউমার সারানো যায়।

নিয়মিত পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণ করা

আপনি যখন পরিষ্কার ও স্বাস্থ্যসম্মত খাদ্য গ্রহণ করবেন সেক্ষেত্রে দেখবেন টিউমার হওয়ার সম্ভাবনা অধিকাংশ কমে যাবে। আপনারা জেনে থাকবেন যে অধিক তেল যুক্ত অপরিষ্কার খাবার বিভিন্ন রোগের মূল কারণ। আর এই জন্য আমাদের এ সকল খাবার থেকে বিরত থাকতে হবে এবং সুষম খাদ্য গ্রহণ করতে হবে। এটি টিউমার সারানোর ঘরোয়া উপায় এর মধ্যে অন্যতম একটি।

আরও পড়ুন ঃ হঠাৎ হঠাৎ পেট ব্যথার কারণ - পেটে ব্যাথা হলে করণীয়

তামাক বা তামাক জাতীয় যেসব খাবার পরিহার করা

 তামাক জাতীয় খাদ্য আমাদের শরীরে শুধু টিউমার নয় বরং তা শরীরের বিভিন্ন ক্ষতি সাধন করে থাকে। আমাদেরকে সম্পূর্ণরূপে তামাক ও তামাকজাত দ্রব্য পরিহার করতে হবে তাহলেই টিউমার সহ অন্যান্য রোগ থেকে আমরা মুক্ত হতে  পারবো। ঘরোয়া উপায়ে টিউমার সারানোর এটি ও অন্যতম একটি।

শরীরের ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখা

যখন কোন ব্যক্তি শারীরিকভাবে মোটা হয়ে যায় বা তার শরীরে ফ্যাট তৈরি হয় তখন টিউমারসহ বিভিন্ন ধরনের রোগ ব্যাধি তার শরীরে বাসা বাঁধতে শুরু করে। সুতরাং আমাদের সুস্থ থাকতে আমাদের ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে। আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন। নিয়মিত ব্যায়াম করা এটি টিউমার সরানো ঘরোয়া উপায় বা টিউমার প্রতিরোধের উপায়।

সূর্যের অতি বেগুনি রশ্নি থেকে নিজেকে সেভ রাখা

যাদের টিউমার হয়ে গেছে তারা যতটা সম্ভব সূর্যের অতিরিক্ত অতি বেগুনি রশ্নি থেকে দূরে থাকার অভ্যাস তৈরি করুন। তা না হলে সূর্যের অতি বেগুনি রোশনি থেকে আপনার অনেক ক্ষতি হতে পারে।

নিরাপদ ও বৈধ যৌন সম্পর্ক স্থাপন করা

অবহিত যৌন সম্পর্ক মানুষের শরীরে বিভিন্ন রোগ সৃষ্টি করে থাকে। তাই অবৈধ যৌন সম্পর্ক টিউমার সৃষ্টির অন্যতম মারাত্মক একটি কারণ হতে পারে।

কি খেলে টিউমার ভাল হয় টিউমার ভালো করার উপায় শেষ কথা 

টিউমার আপনার শরীরের যেকোন স্থানে হতে পারে । যাদের এখনো টিউমার হয় নাই তারা উপরোক্ত কথাগুলো মেনে চলতে পারেন আশা করি ভাল ফলাফল পাবেন। আর যাদের টিউমার আক্রান্ত হয়ে গেছেন তাদের চিন্তারা কোনো কারণ নেই তারাও যদি অপরোক্ত বিষয়গুলো মেনে চলেন তাহলে আশা করি আপনারাও ভালো ফলাফল পাবেন। যদি আপনার টিউমার বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে যায় তাহলে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ খান বা অপারেশন করান ইনশাল্লাহ এ থেকে সহজেই মুক্তি পাবেন।

আপনার আপনজনদের জানাতে শেয়ার করুন

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩