নিম পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা

প্রিয় পাঠক আপনি কিনিম পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন নিম পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত। দৈনন্দিন জীবনে নিমপাতার ব্যবহার অপরিহার্য। কিন্তু আমাদের জানতে হবে কোন সময়ে নিমপাতা খেলে বা নিম পাতার রস খেলে উপকার হবে এবং এর অপকারিতা কি কি রয়েছে সেই সম্পর্কে। তাই চলুন এই পর্বে জেনে নেওয়া যাক নিম পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।
নিম পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা
অনেকেই জানেনা নিম পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে। তাই এই পর্বের মাধ্যেমে জানতে পারবেন নিম পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে।নিমপাতা এমন একটি ওষুধ যা চোখের রোগ,পেট খারাপ হয়,কুষ্ঠ রোগ থেকে আমাদের রক্ষা করে। নিম পাতার রস খেলে অনেক রোগ থেকে মুক্ত থাকা যায়। চলুন জেনে নেই নিম পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

পোস্ট সূচিপত্রঃ নিম পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা

নিম পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা

আপনি যদি নিম পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পর্বটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন নিমপাতা খেলে কি কি উপকারিতা হয় এবং কি কি অপকারিতা সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক নিম পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা সম্পর্কে বিস্তারিত।

উপকারিতাঃ

নিম পাতায় থাকা এন্টিনা ব্যাকটেরিয়াল এবং এন্টিনা ফাংগাল উপাদান রক্ত পরিশুদ্ধ করে। এটি শরীর থেকে ক্ষতিকর টক্সিন বের করে লিভার ও কিডনি সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। প্রতিদিন দুইটা করে নেমে তৈরি ক্যাপসুল খেলে বিভিন্ন ধরনের টক্সিন থেকে রক্ত পরিশুদ্ধ থাকবে।রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে নিমপাতা দারুন কার্যকারী। বিশেষ করে নিম পাতা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য অনেক বেশি উপকারী। নিম পাতার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা অনেক বেশি থাকায় যেকোনো ধরনের সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে এটি ভূমিকা রাখে অনেক।নিমপাতায় রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করে। নিমে থাকা ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাংগাল উৎপাদনে দাঁতে বিভিন্ন সমস্যা কমায়।

অপকারিতাঃ

নিম পাতার উপকারী সাথে সাথে অপকারিতাও রয়েছে। সেই জন্য নিম পাতা সবার ক্ষেত্রে ব্যবহার করা উচিত নয়। নিম অনেকসময় বন্ধ্যাত্ব তার কারণ হতে পারে। তাই যারা সন্তানের পরিকল্পনা করছেন তারা নেম থেকে দূরে থাকাই উত্তম।গর্ভবতী মহিলাদের জন্য অনেক বড় ক্ষতির কারণ হতে পারে। আবার এটি গর্ভপাতের অন্যতম কারণ হতে পারে।
এছাড়াও প্রসূতি মহিলাদের নিম পাতা থেকে দূরে থাকাই উত্তম।কোনো কারণবশত যদি ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে নিম তেলের ব্যবহার কিংবা নিম তেল খাওয়ান তবে মারাত্মক ক্ষতি করতে পারে। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে বমি ভাব,দুর্বলতা মস্তিষ্কের ব্যাধি দেখা দিতে পারে এমনকি কোনো কোনো ক্ষেত্রে শিশুর মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে।

এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার

আপনি নিশ্চয়ই এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন। হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক এলার্জিতে নিম পাতার ব্যবহার গুলো। নিমের কিছু পাতা রাতে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এবং পরের দিন সকালে এসে বলে একটি পেস্ট তৈরি করে নিন এবং চুলকানি হওয়া জায়গায় তার ব্যবহার করুন দেখবেন তাতে অনেক উপকার হয়েছে। নিম হলো বউ উপকারে বিশিষ্ট একটি ঔষধ যা ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ দ্বারা সৃষ্টি এলার্জি নিষ্কাশন করতে ব্যবহৃত করা হয়।
এলার্জিতে নিম পাতা ব্যবহার করবেন,চা চামচের ৩ ভাগের ১ ভাগ নিম পাতার গুঁড়া এবং 1 চা চামচ ভুসি একগ্লাস পানিতে আধা ঘন্টা ভিজিয়ে রাখতে হবে। আধাঘন্টা পর চামচ দিয়ে নেড়ে প্রতিদিন সকালে খালি পেটে,দুপুরে ভরা পেটে,এবং রাতে শোয়ার আগে এই মিশ্রন খেতে হবে।এভাবে একটানা একমাস খাওয়ার পর এলার্জি অনেকটাই কমে যাবে।

নিমপাতার ক্ষতিকারক দিক

নিম পাতার যেমন ভাল দিক রয়েছে তেমন নিমপাতার ক্ষতিকারক দিক ও রয়েছে। এই পর্বের মাধ্যমে আমরা জেনে নিব নিমপাতার ক্ষতিকারক দিক গুলো কি কি সেই সম্পর্কে। সব কিছুরই একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া রয়েছে। তেমনি ভাবে নিমপাতার ক্ষতিকারক দিক ও রয়েছে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক নিম পাতার ক্ষতিকারক দিক সমূহ গুলো। যারা নিম্ন রক্তচাপের সমস্যায় ভুগছেন তাদের ক্ষেত্রে নিমপাতার ব্যবহার করা যথাযথ নয় কেননা নিমপাতা রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে সহায়তা করে তাই যাদের নিম্ন রক্তচাপ রয়েছে তারা নিমের ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে।খালি পেটে বেশিদিন এটি খেলে হিতে বিপরীত হতে পারে। কারো যদি এটি খাওয়ার পর বমি বমি ভাব ডায়রিয়া মাথাব্যথা মত সমস্যা হয় তাহলে তৎক্ষণাৎ এটি খাওয়া বন্ধ করে দেয়া উচিত।

খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়

আপনি কি জানেন খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়? যদি না জেনে থাকেন তবে এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নিন খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক খালি পেটে নিম পাতার রস খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে। আয়ুর্বেদ শাস্ত্র মতে প্রায় ৫০০০ বছর ধরে মানুষের শরীরের নানা রকমের রোগের হাত থেকে বাঁচাতে নিমপাতাকে কাজে লাগানো হয়ে আসছে। তাদের মতে নিয়মিত খালি পেটে নিম পাতা খাওয়া শুরু করলে রক্তে উপস্থিতি ক্ষতিকর উপাদান এরা ধ্বংস হয়ে যায়। সেইসঙ্গে টক্সিক উপাদানেরা বেরিয়ে যেতে বাধ্য হয়।সেইসঙ্গে কোন ধরনের ত্বকের সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে না।

চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা

চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা রয়েছে। অনেকেই চুল সুরক্ষিত রাখার জন্য নিমপাতার ব্যবহার করে থাকে। তাই এই পর্বের মাধ্যমে আমরা আজকে জেনে নেব চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা গুলো কি কি সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক চুলের জন্য নিম পাতার উপকারিতা।নিম পাতার রস নিয়মিত মাথায় লাগালে চুল শক্ত হয়, চুলের শুষ্কতা কমে যায় এবং নতুন চুল গজায়। নিমপাতা বেটে চুলে লাগালে মাথার চুলকানি কমে যায়। নিমের তেলের প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন এ এবং ফ্যাটি এসিড থাকে যা ত্বক এবং চুলের জন্য উপকারী।

ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার

অনেকেই রয়েছে যারা ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার করে থাকে। যারা ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার করতে চান তাদের জন্য এই পর্বটি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ব্রণের জন্য নিম পাতার ব্যবহার গুলো।নিম পাতা এবং তুলসী ত্বকের কালো দাগ ও ব্রণ তুলতে সাহায্য করে। এই জন্য নিম পাতা ও তুলসী গুঁড়োর সঙ্গে এক চা চামচ মধু ১ চা চামচ চন্দন গাঁটের গুরা বা মুলতানি মাটি একসাথে মিশিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এই প্যাকেটে ব্যবহার করে আপনার মুখে ১০ /১৫ মিনিট রেখে দিন তারপর ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে নিতে হবে। নিনে অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টি ফাংগাল বৈশিষ্ট্য আছে। অন্যদিকে হলুদ আছে নানা গুণ। তাই নিমপাতা ও হলুদ একসঙ্গে এই প্যাকটি ত্বকের ব্রণ ভালো করা এবং ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায়।

নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়

অনেকেই জানেনা নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়। যারা নিম পাতা মুখে দিলে কি হয় সম্পর্কে জানতে চান তাদের জন্য এই পর্বটি।নিম পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা এই পর্বে আলোচনা করা হবে নিমপাতা মুখে দিলে কি হয় সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক নিম পাতা মুখে দিলে কি হয়। নিম পানিতে বিদ্যামান বিভিন্ন উপাদান সমূহ আমাদের মুখের গভীর ত্বকের মধ্যে গিয়ে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে মুখে দাগহীন এবং উজ্জ্বল করে তোলে। যার ফলে ব্রণের দাগ দূর হয়ে যায়। প্রথমে নিম পাতা ভালোভাবে সিদ্ধ করে পেস্ট করে নিন। এরপর সেই পেস্ট আলতো করে মুখে লাগিয়ে রাখুন। কিছুক্ষণ পরে দেখবেন মুখে উজ্জ্বল ভাব চলে আসছে।

শেষ কথা

নিম পাতা আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক প্রয়োজন রয়েছে। আশেপাশে বেড়ে ওঠা নিম গাছ কখনোই কেটে ফেলবো না। কারণ এই গাছটি মানববন্ধন একটি গাছ। এটি আমাদের বাড়ির আশেপাশে সাপ থেকেও রক্ষা করে। বাড়ির আশেপাশে পড়ে থাকা জমিতে গাছ লাগাব।নিম পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা এই পর্বে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং নিম পাতার উপকারিতা এবং অপকারিতা পর্বটি যদি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩