পাইলস বা অর্শ লক্ষণ কি - পাইলসের সহজ সমাধান tahablog

প্রিয় পাঠক আপনি কি পাইলস বা অর্শ রোগের লক্ষণ কি - পাইলসের সহজ সমাধান সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? আপনি যদি পাইলসের সমাধান চান তাহলে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই জানতে পারবেন পাইলস বা অর্শ রোগের লক্ষণ কি - পাইলসের সহজ সমাধান গুলো। যারা পাইলস রোগে আক্রান্ত হয়ে অস্বাস্থ্য জীবন যাপন করছেন তাদের জন্য আজকের পর্বটি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক পাইলস বা অর্শ রোগের লক্ষণ কি - পাইলসের সহজ সমাধান।
পাইলস বা অর্শ রোগের লক্ষণ কি - পাইলসের সহজ সমাধান
অনেকেই পাইলস রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেক সমস্যার মধ্যে দিন পার করছে। আবার দেখা যায় পাইলস রোগে আক্রান্ত হয়ে অনেকেই এই রোগ সম্পর্কে কাউকে বলতে পারেনা। তাই তাদের জন্য আজকের পর্বটি। এই পর্বটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক পাইলস বা অর্শ রোগের লক্ষণ কি - পাইলসের সহজ সমাধান।

পোস্ট সূচিপত্রঃ পাইলস বা অর্শ রোগের লক্ষণ কি - পাইলসের সহজ সমাধান

পাইলস বা অর্শ রোগের লক্ষণ কি

আপনি যদি পাইলস বা অর্শ রোগের লক্ষণ কি জানতে চান তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়ে জেনে নিন পাইলস বা অর্শ রোগের লক্ষণ কি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক পাইলস বা অর্শ রোগের লক্ষণ গুলো।পাইলস বা অর্শ রোগের লক্ষণ গুলো নিম্নে আলোচনা করা হলোঃ
  • পাইলস হলে পায়খানার সাথে উজ্জ্বল লাল বর্ণের অর্থাৎ যা রক্ত যেতে পারে।সাধারণত পায়খানার পরে টয়লেট পেপার ব্যবহার করলে সেখানে রক্তের ফোটা লেগে থাকতে পারে অথবা কনডমে বা ফ্যানের গায়ে টকটকে লাল বর্ণের রক্তের ছোপ দেখা যেতে পারে। পাইলস হলে পায়ুপথের মুখে থাকা এনাল কুশন গুলো থেকে রক্তক্ষরণ হয় এই রক্ত বেরিয়ে গিয়ে জমাট বাধার সুযোগ পায় না। এ কারণে এ ক্ষেত্রে তাজা লাল রক্তের রক্ত দেখা যায়।
  • কিন্তু যদি কোন কারণে পায়খানার সাথে গাঢ় খয়েরি বর্ণের রক্ত দেখা যায় ,বা আলকাতরার মত কালো বা নরম পায়খানা হয় , তবে তা সাধারণত পাইলসের কারণে নয়।পরিপাকতন্ত্রের কোন অংশের রক্তপাতের কারণে পায়খানার সাথে এমন ধরনের গাড়ো রক্ত যেতে পারে ।তাই এমনটা হলে রক্তপাতের কারণ জানার জন্য দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হতে হবে।
  • পায়খানার রাস্তায় ব্যথা হওয়া।
  • পাইলস রোগ সাধারণত তীব্র ব্যথা হয় না।তবে যদি পায়ুপথের গোটা এমন পর্যায়ে চলে যায় যে যেগুলো আঙ্গুল দিয়ে ফেলেও ভেতরে ঢোকানো না যায় ,এবং সেগুলোতে রক্ত চলাচল বন্ধ হয়ে যায় , সে ক্ষেত্রে অনেক তীক্ষ্ণ বা তীব্র ব্যথা হতে পারে। এই ব্যথা সাধারণত দুই থেকে এক দিন স্থায়ী হয়। ব্যথা বেশি হলে ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। এছাড়া বিশেষ প্রয়োজনে ঘরোয়া উপায়ে ব্যাথার চিকিৎসা করা যায়।

অর্শ রোগের লক্ষণঃ

আমরা অনেকেই পাইলস রোগকে অর্শ রোগও বলে থাকি। পাইলস এবং অর্শ রোগ দুটি একই। অনেকে রয়েছে যারা মনে করে অর্শ রোগ এবং পাইলস রোগ ভিন্ন। কিন্তু পাইলস রোগকেই অর্শ রোগ বলা হয়ে থাকে। নিম্নে আরো কিছু অর্শ রোগ বা পাইলস রোগের লক্ষণ দেওয়া হলোঃ
  • পায়খানার রাস্তায় চুলকানি
  • পাইলস হলে কখনো কখনো পায়ুপথে বা এর মুখের আশেপাশে চুলকানি হতে পারে।এছাড়া , পায়ুপথ দিয়ে মিউকাস বা শ্লেষ্মা- জাতীয় পিচ্ছিল ও আঠালো পদার্থ বের হতে পারে। অনেক সময় মলত্যাগ করে ফেলার পরও আপনার বার বার মনে হতে পারে যে পেট পরিষ্কার হয়নি, আবার মলত্যাগ করা প্রয়োজন।
  • পায়ুপথের মুখের অংশগুলো বেরিয়ে আসা।
  • পাইলস হলে সাধারণত মলত্যাগের পরে এনাল কুশন গুলো নরম গোটার মতো বের হয়ে আসে।এগুলা কিছু সময় পর নিজে নিজেই ভেতরে ঢুকে যায়। অনেকের ক্ষেত্রে এগুলো আঙুল দিয়ে ভেতরের ঢুকানোর প্রয়োজন হতে পারে। আবার কারো কারো ক্ষেত্রে পাইলস এমন পর্যায়ে পৌঁছে যায় যে আঙুল দিয়েও গোটা গুলো ভেতরে ঢোকানো যায় না।

পাইলসের সহজ সমাধান

আপনি নিশ্চয়ই পাইলসের সহজ সমাধান চাচ্ছেন? হ্যাঁ এই পর্বের মাধ্যমে আপনি পাইলসের সহজ সমাধান সম্পর্কে জানতে পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক পাইলসের সহজ সমাধান। আপনার যদি পাইলস বা অর্শ রোগ হয়ে থাকে এবং এই রোগটি যদি তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে যায় তবে অবশ্যই আপনাকে অপারেশন বা ডাক্তারের পরামর্শ অনুযায়ী চিকিৎসা নিতে হবে। তবে এই পাইলসের রোগ যদি আপনার অল্প হয়ে থাকে তাহলে আপনি এই রোগের সহজে সমাধান বা তীব্র হওয়া থেকে রক্ষা পেতে পারেন। পাইলসের রোগ থেকে বাঁচতে ওজন অতিরিক্ত বেশি হলে তা কমিয়ে ফেলতে হবে।
ওজন বেশি হলে পাইলস হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে, তাই পাইলসের রোগীদের ওজন কমানোর পরামর্শ দেওয়া হয়।কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে বাঁচতে বেশি বেশি অথবা ফাইবারযুক্ত খাবার খেতে হবে ।এর মধ্যে রয়েছে শাকসবজি ,ফলমূ্‌ ডাল, লাল চাল ও লাল আটার তৈরি খাবার। সেই সাথে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করতে হবে।

পাইলসের ঘরোয়া চিকিৎসা কি কি

আপনি যদি পাইলসের ঘরোয়া চিকিৎসা কি কি জানতে চান তাহলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন পাইলসের ঘরোয়া চিকিৎসা কি কি। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক পাইলস হলে এর ঘরোয়া চিকিৎসা কি। পাইলসের ঘরোয়া চিকিৎসা নিম্নে দেওয়া হলোঃ
  1. ফাইবার পানি শোষণ করার মাধ্যমে পায়খানা নরম করে,তাই ফাইবার কে কাজ করতে হলে সারাদিনে অন্তত দুই লিটার পানি পান করতে হব।এই দুইটি কাজ করলে সাধারণত কয়েক দিনের মধ্যে কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হবে ।আর কয়েক সপ্তাহের মধ্যে পাইলস এর সব ধরনের লক্ষণ গুলো উপশম হবে।
  2. ৬ সপ্তাহ অর্থাৎ দেড় মাস ধরে যদি খাবারের যথেষ্ট পরিমাণ খাইবার নিশ্চিত করা হয় তাহলে ৯৫%শতাংশ পাইলস রোগীর পায়খানার সাথে রক্ত যাওয়া কমে যায়।
  3. মলত্যাগের সময় খুব জোরে চাপ দেওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পায়খানা যাতে নরম হয় এবং সহজেই মলত্যাগ করা যায়, সেই উপদেশগুলো মেনে চলতে হবে।
  4. মলত্যাগে প্রয়োজনের অতিরিক্ত সময় ব্যয় করা যাবে না।
  5. টয়লেটে বসে ম্যাগাজিন, পেপার, মোবাইল -এসবে মনোননিবেশ করা বাদ দিতে হবে।
  6. পায়খানার চাপ আসলে তা আটকে রাখা উচিত না,এতে পায়খানা আরো শক্ত হয়ে কোষ্ঠকাঠিন্য দেখা যায়। চাপ আসলে দেরি না করে বাথরুমে যেতে হবে।
  7. নিয়মিত ব্যায়াম বা শরীর চর্চা করতে হবে।ব্যায়ামের মধ্যে ভারী ব্যায়াম বা প্রতিদিন দৌড়ানো বেছে নিতে হবে, এমন নয় ।শরীরকে চলমান রাখতে হাঁটাচলা, হালকা যোগব্যায়াম ইত্যাদির মধ্যে যেকোনো একটাই বেছে নেওয়া যায়। প্রয়োজনে অল্প অল্প করে শুরু করতে পারেন।
  8. দিনে ২০ মিনিট হাঁটুন। এক বেলা দিয়ে শুরু করুন, এরপর সকাল সন্ধ্যা দুই বেলা করে হাঁটুন ।প্রথমে সপ্তাহে তিন দিন এভাবে হেঁটে আস্তে আস্তে সেটা পাঁচ দিনে নিয়ে আসুন।গবেষণায় দেখা গেছে, কষ্টকাঠিন্য কমাতে হাটাহাটি বা হালকা শরীর চর্চা ও কার্যকরী ভূমিকা রাখে।

পাইলস বা অর্শ রোগ কি

আপনি নিশ্চয়ই পাইলস বা অর্শ রোগ কি জানতে চাচ্ছেন? আপনি যদি পাইলস বা অর্শ রোগ কি জানতে চান তাহলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক পাইলস বা অর্শ রোগ কোনগুলোকে বলা হয়। পায়ুপথ বা পায়খানার রাস্তার মুখ যদি কোন কারণে ফুলে যায় এবং সেখান থেকে রক্ত পড়ে কিংবা পায়খানার রাস্তায় যদি গোটার মত হয় তখন একে বলা হয় পাইলস। চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় এর নাম হেমোরয়েড। জটিল আকার ধারণ করার আগে অপারেশন ছাড়া অর্শ রোগের চিকিৎসা সম্ভব।পাইলসএকটি অতি পরিচিত স্বাস্থ্য সমস্যা।
এটি অর্শ রোগ নামেও পরিচিত।অনেকেই এই সমস্যয় দীর্ঘদিন ভুললেও এ ব্যাপারে পরামর্শ চাইতে বা ডাক্তার দেখাতে সংকোচ বোধ করেন। ক্ষেত্রবিশেষে পাইলসের সঠিক চিকিৎসার বদলে হোমিওপ্যাথি, কবিরাজি ঔষধ ও অন্যান্য টোটকা গ্রহণ করেন। এসব কারণে পাইলস ক্রমশ জটিল আকার ধারণ করে। তাই পাইলস বা অর্শ রোগ সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে এর সম্বন্ধে সচেতন হওয়া জরুরি।

পাইলস হলে কোন সমস্যা গুলো হয়

আপনি কি জানেন পাইলস হলে কোন সমস্যা গুলো হয়? আপনি যদি না জেনে থাকেন তবে জেনে নিন পাইলস হলে কোন সমস্যা গুলো হয়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক পায়েল হলে কোন সমস্যা গুলো দেখা দেয়। পাইলস হলে পায়ু পথের অন্ত বা ভেতরের অর্শ রোগে সাধারণত তেমন কোন ব্যথা বেদনা অস্বস্তি থাকে না অন্যদিকে পায়ুপথের বহিয়ে অর্শ রোগে পায়ুপথ চুলকায় এবং বসলে ব্যথা লাগে। সেই সঙ্গে পায়খানার সঙ্গে টকটকে লাল রক্ত দেখা যায় বা শৌচ করা টিস্যুতে তাজা রক্ত লেগে থাকে। মলত্যাগের ব্যথা লাগা এবং পায়ুর চারপাশে ১/১ এর অধিক ফোলা থাকে। আশা করি জানতে পেরেছেন পায়েল চলে কোন সমস্যাগুলো দেখা দেয়।

শেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বা জেনে উপকৃত হয়েছেন পাইলস বা অর্শ রোগের লক্ষণ কি - পাইলসের সহজ সমাধান সম্পর্কে। আপনার যদি পাইলস বা অর্শ রোগের লক্ষণ কি এবং পাইলসের সহজ সমাধান সম্পর্কে কোন মন্তব্য থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। এ ধরনের পোস্ট আরো পেতে অবশ্যই আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩