কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে - কোর্ট ম্যারেজের নিয়ম ও খরচ

প্রিয় পাঠক আপনি কি কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে - কোর্ট ম্যারেজের নিয়ম ও খরচ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তবে হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে - কোর্ট ম্যারেজের নিয়ম ও খরচ। অনেকেই জানেনা কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে বা কোর্ট ম্যারেজের নিয়ম ও খরচ সম্পর্কে। তাই আজকের পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে - কোর্ট ম্যারেজের নিয়ম ও খরচ সম্পর্কে।
কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে - কোর্ট ম্যারেজের নিয়ম ও খরচ
যারাকোট ম্যারেজ করতে চাই তাদের জন্য এই পর্বটি। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে এবং কোর্ট ম্যারেজের নিয়ম ও খরচ সম্পর্কে। অতএব যারা কোর্ট ম্যারেজ করতে চান তারা মনোযোগ সহকারে এই পর্বটি পড়ুন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে - কোর্ট ম্যারেজের নিয়ম ও খরচ সম্পর্কে বিস্তারিত।

পোস্ট সূচিপত্রঃ কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে - কোর্ট ম্যারেজের নিয়ম ও খরচ

কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে

আপনি যদি কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে জানতে চান তাহলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে। কোর্ট ম্যারেজ করতে যা যা প্রয়োজন তার নিচে দেওয়া হলোঃ
  • দুজন প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষ সাক্ষী।(তবে একজন ছেলে একজন মেয়ে হলেও হবে)।
  • দুই কপি ছবি ছেলে ও মেয়ের।
  • এনআইডি/এসএসসি, এইচএসসি সনদ/জন্ম সনদ।
  • এন আই ডি না থাকলে জন্ম সনদ দিয়েও বিয়ে করা যাবে।
আপনি যদি কোর্ট ম্যারেজ করতে চান তাহলে আপনার উপরোক্ত সকল সনদ গুলোর প্রয়োজন হবে। যেগুলো ছাড়া আপনার কোর্ট ম্যারেজ করা যাবে না। এক কথায় বলা যায় কোর্ট ম্যারেজ করতে উপরোক্ত সকল জিনিসগুলোর প্রয়োজন হবে।

কোর্ট ম্যারেজের নিয়ম ও খরচ

আপনি কি কোর্ট ম্যারেজের নিয়ম ও খরচ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোর্ট ম্যারেজের নিয়ম ও খরচ সম্পর্কে। কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য তিনশত টাকার নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে লটারি পাবলিকের কার্যালয়ের অথবা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট এর কার্যালয়ে গিয়ে করতে হবে। আবার অনেকেই কোর্ট ম্যারেজের কত টাকা খরচ হয় না জেনে অধিক পরিমাণ টাকা ব্যয় করে ফেলে। সকলের কোর্ট ম্যারেজের কত টাকা খরচ হয় সেটা জানার প্রয়োজন।
২০০৯ এর ২১ বিধি অনুযায়ী কাবিননামায় চার লক্ষ টাকা পর্যন্ত প্রতি হাজারে ১২.৫০ টাকা এবং পরবর্তী লাখ বা লাখের অংশবিশেষের জন্য ১০০ টাকার রেজিস্ট্রেশন ফ্রি। এবার আসন কোর্ট ম্যারেজ ফি। কোর্ট ম্যারেজ করার জন্য উকিল, নোটারে পাবলিক বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেটের ফি স্ট্যাম্প সহ ৩০০০ টাকা। তবে অনেক সময় এটা কিছু কম বেশি হয়ে থাকে।

কোর্ট ম্যারেজ কি

আপনি কি জানেন কোর্ট ম্যারেজ কি? যদি না জেনে থাকেন তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। এর পরের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন কোর্ট ম্যারেজ কি। তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক কোর্ট ম্যারেজ কি? কোর্ট ম্যারেজ বলতে মনে করে থাকি কোর্টে দাঁড়িয়ে ছেলেমেয়ে বিবাহ করবে। কিন্তু এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। আমরা যেটাকে কোর্ট ম্যারেজ বলে জানি সেটা হল ৩০০ টাকার নোট জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে হলফপূর্বক ছেলে এবং মেয়ে স্বামী স্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা। আইনের দৃষ্টিতে কোর্ট ম্যারেজের ভ্যালু খুব কম। কোর্ট ম্যারেজ বিবাহের চুক্তি মাত্র। কেউ যদি পাশাপাশি বিবাহ রেজিস্ট্রি করে নেয় তাহলে কোর্ট ম্যারেজ অতিরিক্ত সাপোর্ট হিসেবে কাজ করে। আইনের দৃষ্টি অনুযায়ী এই বিবাহটি অনেক শক্তিশালী হয়। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কোর্ট ম্যারেজ কি।

কোর্ট ম্যারেজ কোথায় গিয়ে করতে হয়

আপনি যদি কোর্ট ম্যারেজ কোথায় গিয়ে করতে হয় না জেনে থাকেন তবে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। এই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক কোর্ট ম্যারেজ কোথায় গিয়ে করতে হয়। অনেকেই এই বিষয়ে জানেনা কোথায় গিয়ে কোর্ট ম্যারেজ করতে হয়। একজন আইনজীবী, নোটারি পাবলিকের কার্যালয়ে প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট এর কার্যালয়ের ব্যাপার আছে সুতরাং কোর্টে গেলে সব একই জায়গায় পেয়ে যাবেন। যেখানে একজন এডভোকেট প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট স্বাক্ষর থাকবে।
আরো পড়ুনঃ মেয়েরা পরকীয়া করে কেন - পরকীয়া নারী চেনার উপায়
সরকার কর্তৃক অনুমোদিত নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্পে সিল সহ একটা প্রমাণ পত্র আপনার কাছে থাকবে। তার আইনগত ভিত্তি থাকবে না কেন? মনে রাখবেন বিবাহ রেজিস্ট্রি করার বাধ্যতামূলক অন্যথায় কোর্ট ম্যারেজের আইনগত ভিত্তি থাকবে না। এক কথায় বলা যায় আপনি যদি কোর্ট ম্যারেজ করতে চান তবে একজন আইনজীবী, নটারী পাবলিকের কার্যালয়ে গিয়ে আপনি কোর্ট ম্যারেজ করতে পারবেন।

রেজিস্ট্রিসহ কোর্ট ম্যারেজ এ কত সময় লাগে

আপনি কি জানেন রেজিস্ট্রিসহ কোর্ট ম্যারেজ এ কত সময় লাগে? যদি না জেনে থাকেন তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন রেজিস্ট্রিসহ কোর্ট ম্যারেজ এ কত সময় লাগে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক রেজিস্ট্রিসহ কোর্ট ম্যারেজ এ কত সময় লাগে। অনেকেই ভাবে অথবা চিন্তা করে কোর্ট ম্যারেজ করতে কত সময় লাগে? তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক রেজিস্ট্রেশন কোর্ট ম্যারেজ করতে কত সময় লাগে।
বিবাহ রেজিস্ট্রিঃ বিবাহ কাজী দ্বারা রেজিস্ট্রি করতে কয়েক মিনিট সময় লাগে এটি অতিরিক্ত কোনদিন বা মাসের প্রয়োজন হয় না। কাজী সাহেবের ভলিউম বয়ে ছেলে মেয়ের স্বাক্ষর হলেই বিবাহ রেজিস্ট্রি হয়ে যায়। এরপর কাজী সাহেব হিজাব কবুলের মাধ্যমে ইসলামী শরিয়া মোতাবেক বিবাহ সম্পন্ন করেন। এক কথায় বিবাহ রেজিস্ট্রি করতে কয়েক মিনিট সময় লাগে।
কোর্ট ম্যারেজঃ কোর্ট ম্যারেজ করতে একজন আইনজীবী, নোটারির পাবলিক বা প্রথম শ্রেণীর ম্যাজিস্ট্রেট এবং নন জুডিশিয়াল স্ট্যাম্প প্রয়োজন কোর্ট ম্যারেজ দীর্ঘ একটি প্রক্রিয়া। কিন্তু আপনি যদি কোর্ট এ গিয়ে বিয়ে পরান তাহলে সবকিছু একই জায়গায় পেয়ে যাবেন ফলে সময় বেঁচে যাবে।
আশা করি উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে আপনি জানতে পেরেছেন রেজিস্ট্রিসহ কোর্ট ম্যারেজ এ কত সময় লাগে।

শেষ কথা

উপরোক্ত আলোচনা সাপেক্ষে এতক্ষণে নিশ্চয়ই বুঝতে পেরেছেন বা জেনে উপকৃত হয়েছেন কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে - কোর্ট ম্যারেজের নিয়ম ও খরচ সম্পর্কে। কোর্ট ম্যারেজ করতে কি লাগে - কোর্ট ম্যারেজের নিয়ম ও খরচ এই পর্বে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন এবং আজকের পর্বটি যদি ভালো লেগে থাকে তবে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন। এ ধরনের পোস্ট আরো পেতে অবশ্যই আমাদের সাথেই থাকুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩