হযরত ফাতেমা রাঃ এর জীবনী

হযরত ফাতেমা রাঃ এর জীবনী নিয়ে আজকের এই আর্টিকেল। অর্থাৎ আপনারা যারা হযরত ফাতেমা রাঃ এর জীবনী সম্পর্কে জানতে চেয়েছেন তাদের জন্য বিষয়টি সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা হবে। আমরা জানি যে হযরত ফাতেমা রাঃ ইসলামের একজন গুরুত্বপূর্ণ নারী ছিলেন। তাই আমাদের মধ্যে অনেকেই হযরত ফাতেমা রাঃ এর জীবনী সম্পর্কে জানতে চায়।

তাহলে চলুন আর দেরি না করে হযরত ফাতেমা রাঃ এর জীবনী ঝটপট আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নেওয়া যাক।

সূচিপত্রঃ হযরত ফাতেমা রাঃ এর জীবনী - হযরত ফাতিমা রাঃ এর জীবনী pdf

হযরত ফাতেমা রাঃ এর জীবনী - হযরত ফাতিমা রাঃ এর জীবনী pdf - হযরত ফাতিমা রাঃ এর জীবনী রচনা

হযরত ফাতেমা রাঃ এর জীবনী সম্পর্কে আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করা হবে। আমরা জানি যে ইসলামের একজন খুবই গুরুত্বপূর্ণ নারী ছিলেন হযরত ফাতেমা রাঃ যিনি আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এবং তার প্রথম স্ত্রী হযরত খাদিজা রাঃ এর কন্যা ছিলেন। তো চলুন হযরত ফাতিমা রাঃ এর জীবনী রচনা অর্থাৎ হযরত ফাতিমা রাঃ এর জীবনী pdf সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক।

জন্মঃ হযরত ফাতেমা রাঃ ৬০৫ সালে মক্কায় জন্মগ্রহণ করেন। তার জন্ম সাল এবং তারিখ সম্পর্কে অনেক মতভেদ রয়েছে। কিন্তু বেশি গ্রহণযোগ্য পায় তিনি প্রথম কোরআন অবতরণ হওয়ার পাঁচ বছর পর যখন কাবাঘর সংস্করণ করা হয় অর্থাৎ ৬০৫ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর চতুর্থ কন্যা ছিলেন।

শৈশবকালঃ শৈশব কাল থেকে হযরত ফাতেমা রাঃ তার পিতা হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর ধর্ম সম্পর্কে বুঝতে পারতেন। তার পিতা কষ্ট পেলে তিনি কষ্ট অনুভব করতেন। একদিন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম মসজিদে সেজদারত অবস্থায় ছিলেন তখন নেতাদের আদেশে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সালাম এর পিঠের উপর পচা নাড়িভুঁড়ি উঠিয়ে দেয়া হয় তখন ফাতেমা রাঃ শুনতে পেলে দৌড়ে এসে সেগুলো নামিয়ে দেই।

এরপর ফাতেমা কুরআনের সাথে কথা কাটাকাটি করেন। এই বিষয়টিতে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম প্রচুর পরিমাণে কষ্ট পেয়েছিলেন এবং তিনি কাফেরদের অভিশাপ দিয়েছিলেন এবং হযরত ফাতেমা রাঃ কে প্রশংসা করেছিলেন। ছোটবেলায় হযরত ফাতেমা তার বাবা হাত ধরে কাবায় গিয়েছিলেন। বিভিন্ন রকম ঘটনা ছোটবেলা থেকে হযরত ফাতেমা রাঃ এর ওপর ধর্মীয় প্রভাব পড়ে।

ইসলাম গ্রহণঃ হযরত ফাতেমা রাঃ ছোটবেলা থেকেই তার পিতা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর ধর্ম প্রচার দেখে এসেছেন এবং ধর্মের প্রতি তার অন্যরকম ভালোবাসা জন্ম হয়। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম নবুওয়াত লাভের পর পর হযরত ফাতেমা ও তার মা খাদিজা রাঃ এবং অন্যান্য বোনেদের সাথে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন। ইসলামের প্রথম ভাগের নারীদের সাথে তিনি বায়াত গ্রহণ করেন।

সাংসারিক জীবনঃ হযরত ফাতেমা রাঃ এর পরিবার ছিল দারিদ্রতায় ভরা। কিন্তু হযরত ফাতেমা এর অন্যান্য বোন গুলোর অবস্থা ছিল ভাল। দ্বিতীয় হিজরির বদর যুদ্ধের পর আলী তার স্ত্রীকে নেওয়ার জন্য একটি ঘর ভাড়া করেন। আলিশিয়া ঘরে ছিল শুধুমাত্র একটি ভেড়ার চামড়া বিছানা সেদিন রাতে ঘুমাতে যাবার দিনে সেটি দিয়ে মশক এর কাজ করতেন। তাদের বাড়িতে কোন ধরনের কাজের লোক ছিল না। তাদের আর্থিক অবস্থা এতই খারাপ ছিল আরেকটি বর্ম একই দিনে কিছু খাদ্য আনেন।

ফাতেমা রাঃ 18 বছর বয়সে বাড়ি গিয়ে দেখেন সেখানে খেজুরের ঝাল ভর্তি চামড়ার বালিশ বিছানা একজোড়া যাঁতাকল দুইটি পানির পাত্র ছিল। বাড়িতে কোন ধরনের দাস-দাসী ছিল না তাই সকল কাজ হযরত ফাতেমা রাঃ কে সব কাজ একাই করতে হত। হযরত আলী সবসময় ঘরের কাজে ফাতেমাকে সাহায্য করতেন।

হাদীস বর্ণনাঃ হযরত ফাতেমা রাঃ সর্বমোট ১৮ টি হাদীস বর্ণনা করেছেন। যার মধ্যে 1 টি মুত্তাফাকুন আলাইহি। এছাড়া ইমাম আবু দাউদ, ইবনে মাজা, এবং তিরমিজি তাদের নিজ নিজ সংকলনে ফাতিমার হাদিস সংকলন করেন। এবং ফাতেমা রাঃ থেকে যারা হাদিস বর্ণনা করেন তারা হলেন হযরত হাসান রাঃ, হযরত হুসাইন রাঃ আলী ইবনে আবু তালিব, আয়িশা অন্যান্য সাহাবীগণ।

মৃত্যুঃ মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর ইন্তেকালের পর বিভিন্ন রকম দুঃখ-কষ্ট হযরত ফাতেমা সৃষ্টি হয়। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালামের মৃত্যুর পর বিভিন্ন রকম ঘটনা তাকে অসহ্য এবং তিক্ত করে তোলে। তিনি তার পিতা হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু ওয়া সাল্লাম এর বিচ্ছেদকে কখনোই সহ্য করতে পারেননি তিনি তার পিতাকে এত বেশি ভালোবাসতেন।

হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম এর ইন্তেকালের ৮ মাস (বিভিন্ন মতভেদ রয়েছে) হযরত ফাতেমা রাঃ মৃত্যুবরণ করেন। অনেকেই এই সময়কে দুই মাস অথবা ৪ মাস বলেছেন। হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সালামের মৃত্যুর পর তার পরিবারের মধ্যে ফাতেমা সর্বপ্রথম ইন্তিকাল করেন। যা আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম হযরত ফাতেমা কে বলে গিয়েছিলেন।

মা ফাতেমার জন্ম তারিখ কত?

প্রিয় বন্ধুরা আমরা ইতিমধ্যে উপরে হযরত ফাতিমা রাঃ এর জীবনী রচনা সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখন মা ফাতেমার জন্ম তারিখ কত? এই বিষয় সর্ম্পকে আপনাদের সাথে আলোচনা করব। আপনারা যারা মা ফাতেমার জন্ম তারিখ কত? তা জানেন না তারা আজকের এই আর্টিকেল থেকে জেনে নিন।

প্রথম কোরআন অবতরণ হওয়ার পাঁচ বছর পর যখন কাবাঘর সংস্করণ করা হয় অর্থাৎ ৬০৫ খ্রিস্টাব্দে জন্মগ্রহণ করেন। আরবি জমাদিউসসানী মাসের 20 তারিখ শুক্রবার জন্মগ্রহণ করেন। হযরত ফাতেমা ৬০৫ সালে মক্কায় খাদিজা রাঃ গর্ভে জন্মগ্রহণ করেন।

হযরত ফাতেমা রাঃ এর বিবাহ

প্রিয় পাঠকগণ আমরা এখন হযরত ফাতেমা রাঃ এর বিবাহ সম্পর্কে আলোচনা করব। ইতিমধ্যে আমরা হযরত ফাতেমা রাঃ এর জীবনী সম্পর্কে জেনে এসেছি। একজন মুসলমান হিসেবে আপনার অবশ্যই হযরত ফাতেমা রাঃ এর বিবাহ সম্পর্কে জানা থাকা উচিত। তাহলে আপনার জন্য আজকের এই আর্টিকেলের হযরত ফাতেমা রাঃ এর বিবাহ সম্পর্কে আলোচনা করা হলো।

আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ সাঃ এর সকল সন্তান গুলোর মধ্যে হযরত ফাতেমা রাঃ সবথেকে আদরের ছিলেন। বদর যুদ্ধের পর দ্বিতীয় হিজরীতে হযরত আলী রাঃ এর সঙ্গে বিয়ে হয়। হযরত আলী রাঃ নিজেই নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এর কাছে হযরত ফাতিমা রাঃ কে বিয়ের প্রস্তাব দিয়েছিলেন।

তখন হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম জিজ্ঞেস করেন, তোমার কাছে মোহর দেওয়ার মত কিছু আছে? আজাদ আলী উত্তর দিয়েছিলেন না মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাম হযরত আলী রাঃ এর লৌহবর্মটি বিক্রি করে দিতে বলেন যার মূল্য ৪০০ দিরহাম। এর পরের দিন সকালে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাই সাল্লাম হযরত আলী কে ডেকে পাঠান এবং তার গায়ে পানি ছিটিয়ে দোয়া করেন।

এরপর ফাতেমা রাঃ কে ডেকে পাঠান তিনি লজ্জা এবং সংকট নিয়ে উপস্থিত হলেন এরপরে নবী করীম সাল্লাল্লাহু সাল্লাম বলেন, আমি পরিবারের সবচেয়ে প্রিয় পাত্রের সাথে তোমাকে বিয়ে দিচ্ছি এরপর তার গায়ে পানি ছিটিয়ে দেন এবং দোয়া করেন। বিয়েতে উপস্থিত থাকা উম্মে আইমান রাঃ তাদের জন্য দোয়া করেন।

হযরত ফাতেমা রাঃ এর সন্তান

প্রিয় পাঠকগণ আশা করি আপনারা হযরত ফাতেমা রাঃ এর জীবনী সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। এখন হযরত ফাতেমা রাঃ এর সন্তান সম্পর্কে আলোচনা করব। আমাদের মধ্যে অনেক দ্বিধাদ্বন্দ্ব রয়েছে যে হযরত ফাতেমা রাঃ এর সন্তান কতজন ছিলেন। সাধারণত এই জন্য আমরা হযরত ফাতেমা রাঃ এর সন্তান নিয়ে এখন আলোচনা করব।

হযরত ফাতেমা রাঃ সন্তান ছিল ৪ জন এবং একজন তার গর্ভে মারা গিয়েছিল। অর্থাৎ তিনি গর্ভে ধারণ করেছিলেন মোট ৫ সন্তানকে। তারা হলো ইমাম হাসান, ইমাম হোসেন, জয়নাব, উম্মে কুলসুম এবং মহিসন।

ফাতেমা রাঃ এর মায়ের নাম

আমরা অনেকেই হযরত ফাতেমা রাঃ এর মায়ের নাম সম্পর্কে জানিনা। একজন মুসলিম হিসেবে অবশ্যই আমাদের হযরত ফাতেমা রাঃ এর মায়ের নাম সম্পর্কে জানা থাকা উচিত। কারণ তারা মুসলমান হিসেবে অনেক গুরুত্বপূর্ণ মানুষ ছিলেন এবং রয়েছেন। তাই এখন আমরা ফাতেমা রাঃ এর মায়ের নাম সম্পর্কে জানব।

হযরত ফাতেমা রাঃ ৬০৫ খ্রিস্টাব্দে হযরত খাদিজা রাঃ হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু সাল্লাম এর প্রথম স্ত্রীর চতুর্থ কন্যা ছিলেন। তাহলে হযরত ফাতেমা রাঃ এর মায়ের নাম হযরত খাদিজা রাঃ।

আমাদের শেষ কথাঃ হযরত ফাতেমা রাঃ এর জীবনী - হযরত ফাতিমা রাঃ এর জীবনী pdf

প্রিয় পাঠক আজকের এই আর্টিকেলে হযরত ফাতেমা রাঃ এর জীবনী, হযরত ফাতিমা রাঃ এর জীবনী রচনা, মা ফাতেমার জন্ম তারিখ কত? সহ আরো অনেকগুলো বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। আপনারা যারা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আজকেরে আর্টিকেল পড়েছেন আশা করি তারা উক্ত বিষয়গুলো সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। যদি বিষয়গুলো না জেনে থাকেন তাহলে সম্পূর্ণ আর্টিকেল শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ে নিন ধন্যবাদ।২০৭৯১

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩