তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা - তরমুজের উপকারিতা কি

আজকের এই পোস্ট টি পড়ে আপনারা জানতে পারবেন তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা ইন্টারনেট তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা  সম্পর্কে জানতে চান তাদের সুবিধার্থে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে।এছাড়াও আরো আলোচনা করেছি তরমুজের উপকারিতা কি, তরমুজের জুসের উপকারিতা, তরমুজ খেলে কি হয় , তরমুজ খেলে কি ক্ষতি হয়, তরমুজ খেলে কি গ্যাস হয়, খালি পেটে তরমুজ খেলে কি হয় ইত্যাদি বিষয়গুলি সম্পর্কে।

তরমুজ একটি গ্রীষ্মকালীন ফল। গ্রীষ্মের খরতাপে তৃষ্ণা মেটাতে তরমুজের জুড়ি নেই। তাহলে চলুন তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা সহ আরো অন্যান্য বিষয় যেমন, তরমুজের উপকারিতা কি, তরমুজের স্বাস্থ্য উপকারিতা, তরমুজের বিচির উপকারিতা, তরমুজের খোসার উপকারিতা, তরমুজের জুসের উপকারিতা, তরমুজের অপকারিতা, তরমুজ খেলে কি ক্ষতি হয়, তরমুজ খেলে কি হয়, তরমুজ খেলে কি গ্যাস হয়, তরমুজ খেলে কি ওজন বাড়ে, তরমুজ খেলে কি ঠান্ডা লাগে, খালি পেটে তরমুজ খেলে কি হয় ইত্যাদি বিষয়গুলি।

পোস্ট সূচিপত্রঃ

তরমুজের উপকারিতা কি | তরমুজের স্বাস্থ্য উপকারিতা

তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে আমরা অনেকেই অবগত নই।তরমুজের স্বাস্থ্য উপকারিতা রয়েছে অনেক। তরমুজ এর বাইরের আবরণটি শক্ত কিন্তু ভেতরে খুব নরম। তরমুজে রয়েছে বিভিন্ন ভিটামিন যেমন ভিটামিন এ, ভিটামিন সি ইত্যাদি।এছাড়াও রয়েছে ফাইবার, এবং প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক ক্ষণিজ উৎস যেমন ক্যালসিয়াম ম্যাগনেশিয়াম পটাশিয়াম যা বিভিন্ন ধরনের রোগ প্রতিরোধ করতে সাহায্য করে। চলুন জেনে নেই তরমুজের উপকারিতা কি কি। 

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিঃ 

তরমুজ ভিটামিন সি তে সমৃদ্ধ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন বি৬ যা অ্যান্টিবডি গঠন করতে সাহায্য করে। এর ফলে শ্বেত রক্ত কণিকা সঠিক পরিমাণে তৈরি হয়।তরমুজ ভিটামিন সি তে সমৃদ্ধ যা শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এছাড়াও এতে রয়েছে ভিটামিন বি৬ যা অ্যান্টিবডি গঠন করতে সাহায্য করে। এর ফলে শ্বেত রক্ত কণিকা সঠিক পরিমাণে তৈরি হয়।

আরো পডুন ঃ কিসমিস খাওয়ার উপকারিতা ও অপকারিতা এবং খাওয়ার নিয়ম সম্পর্কে জানুন

ওজন হ্রাস করতেঃ

তরমুজ খেতে কেবল সুস্বাদু ফল এমন নয় এটি ওজন হ্রাস করতে ও কার্যকর।তরমুজে পানির পরিমাণ অনেক বেশি থাকে যা যে কোন মানুষকে কি ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করার পাশাপাশি ক্ষুধাও নিয়ন্ত্রণ করে। তাই কোন ব্যক্তি যদি ওজন নিয়ন্ত্রন করতে চান তাহলে ডায়েটে তরমুজ অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন। তরমুজে সিট্রুলাইন নামক একটি উপাদান পাওয়া যায় যা ওজন হ্রাস করতে সহায়তা করে। তাই আপনি যদি আপনার ওজন কমাতে চান তাহলে প্রতিদিনের ডায়েটে আপনি তরমুজ অন্তর্ভুক্ত করতে পারেন।

শরীর আর্দ্র রাখতেঃ

তরমুজে রয়েছে ৯০ শতাংশ পানি যা শরীরকে বেশ আর্দ্র রাখে। এছাড়া তরমুজ একটি মানুষকে ডিহাইড্রেশন থেকে রক্ষা করে।

হজম ক্ষমতা বাড়াতেঃ

তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি যা হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়া এতে রয়েছে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও খাবার হজম করিয়ে পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। তরমুজ শরীরের প্রতিদিনের ফাইবারের প্রয়োজনীয়তাকে ৫ শতাংশ মেটায়। যা শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট কমাতে সাহায্য করে।

হার্টের সুস্থতায়ঃ 

আমরা জানি তরমুজ প্রচুর ভিটামিন ও প্রচুর পরিমাণে প্রাকৃতিক ক্ষণিজ উৎস যেমন, ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, পটাশিয়াম ইত্যাদি তে পরিপূর্ণ একটি ফল। তরমুজের কোলেস্ট্রল জাতীয় কোন কিছু থাকে না। তরমুজ খেলে ক্ষতিকারক কোলেস্টেরলকে দূরে রাখা যায় যা হার্ট সংক্রান্ত রোগগুলোকে প্রতিরোধ করতে পারে। তরমুজে উপস্থিত সিট্রোলিন হার্টের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো।একটি তরমুজের বড় টুকরোয় মাত্র ৮৬ ক্যালরি, ২২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট ও ১ গ্রামের থেকেও কম ফ্যাট থাকে এবং কোনোরকম কোলেস্টেরল থাকে না।

দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতেঃ

তরমুজে বিভিন্ন ধরনের ভিটামিন উপাদান থাকে এর মধ্যে একটি হলো ভিটামিন 'এ'। আমরা জানি, আমাদের দেহে ভিটামিন 'এ' এর অভাবে অনেকের দৃষ্টি শক্তি কমতে থাকে। ভিটামিন 'এ' কে চোখের পুষ্টি-বিশেষজ্ঞ বলা হয়। তরমুজে যেহেতু ভিটামিন 'এ' বিদ্যমান সুতরাং আমরা বলতে পারি দৃষ্টিশক্তি ঠিক রাখতে তরমুজের ভূমিকা অপরিসীম।

ক্যানসার প্রতিরোধেঃ

তরমুজে থাকা লাইকোপেন ক্যানসারের প্রবণতা অনেকটা কমিয়ে আনে। এই লাইকোপেনের জন্যই তরমুজের রং গাঢ় লাল হয় এবং এটি অ্যান্টি-অক্সিডেন্টে ভরপুর যা ক্যানসার প্রতিরোধ করে।

তরমুজের বিচির উপকারিতা

শুধু তরমুজ নয় তরমুজের বিচির উপকারিতাও রয়েছে অনেক।  আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা তরমুজের মধ্যে বিচি থাকার জন্য তরমুজ খেতে বিরক্তি বোধ করেন তারা আসলে সঠিকভাবে অবগত নয় তরমুজের বিচির উপকারিতা গুলো সম্পর্কে। আমরা যদি তরমুজের পুষ্টি উপাদান গুলো দেখি তাহলে আমরা দেখতে পাই এককাপ তরমুজের শুকনো দানায় রয়েছে ৬০০ ক্যালোরি। এছাড়াও তরমুজের বিচিতে রয়েছে শর্করা, অ্যামিনো অ্যাসিড, ফ্যাটি অ্যাসিড খাদ্যআশঁসহ গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিনস ও মিনারেলস।তাই আমরা এখন তরমুজের বিচির উপকারিতা গুলো জেনে নেব। 

আরো পডুন ঃ আজওয়া খেজুর খাওয়ার নিয়ম - আজওয়া খেজুর এর উপকারিতা

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ করতেঃ 

একটি ইরানি গবেষণায় দেখা যায়, তরমুজ বীজগুলি গ্লাইকোজেন স্টোরগুলির সংশ্লেষণের উপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলে, যা ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব বেসিক অ্যান্ড অ্যাপ্লাইড সায়েন্সেসের একটি রিপোর্ট অনুযায়ী তরমুজের বিচিতে রয়েছে ওমেগা-৬ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে যা টাইপ ২ ডায়াবেটিস প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে।

হৃদপিণ্ড সুস্থ ও কার্যকারিতা ঠিক রাখতেঃ

তরমুজের বিচির পুষ্টি উপাদান গুলোর মধ্যে একটি হলো পটাশিয়াম যা হৃদপিণ্ড সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। এটি হার্ট এর কার্যকারিতা স্বাভাবিক করে এবং রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে।এছাড়াও তরমুজের বিচিতে রয়েছে স্টিরুলাইন নামে একটি পদার্থ যা অ্যাওর্টিক রক্তচাপ কমাতে সাহায্য করে হার্টকে রক্ষা করে।  

ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করতেঃ

তরমুজের বিচিতে থাকা ফোলেট, লৌহ ও খনিজ অংশ দেহের ইমিউন ফাংশন বাড়ায়। এতে থাকা ভিটামিন বি-কমপ্লেক্স এই ব্যাপারে সাহায্য করে।

পুরুষের প্রজনন ক্ষমতা বৃদ্ধিতেঃ

পুরুষের প্রজনন ক্ষমতায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে জিংক। একটি চীনা গবেষণার মতে, জিংক পুরুষদের শুক্রাণুর মান উল্লেখযোগ্যভাবে উন্নত করতে পারে। তরমুজের বীজ এক্ষেত্রে উপকারী বন্ধু হতে পারে।

এছাড়াও মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য উন্নত করা, পাচক স্বাস্থ্য বৃদ্ধি করা, চুলের গোড়া শক্ত করা ইত্যাদি ক্ষেত্রেও তরমুজের বিচি বেশ উপকারী। তাই এখন থেকে তরমুজের বিচি না ফেলে তরমুজের সঙ্গে কিংবা আলাদা করে শুকিয়ে গুঁড়ো করে খেতে পারেন।

তরমুজের খোসার উপকারিতা

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন তারা হয়তো জানেন না তরমুজের খোসার উপকারিতা গুলো সম্পর্কে। আবার অনেকেই জানেন না তরমুজের লাল অংশটি ছাড়াও তরমুজের খোসার সাদা অংশটি ও খাওয়া যেতে পারে।তরমুজের খোসাকে ইংরেজিতে বলে Watermelon rind। আমরা যদি তরমুজের পুষ্টি উপাদান বিবেচনা করি তাহলে দেখতে পাই তরমুজের খোসাতেও রয়েছে প্রচুর পানি। এছাড়াও রয়েছে সামান্য ক্যালরি, ভিটামিন, মিনারেল ও অন্যান্য পুষ্টি উপাদান।এ ছাড়া অল্প পরিমাণে হলেও আছে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, পটাশিয়াম, ভিটামিন বি ৬ এবং জিঙ্ক। আরও আছে অ্যামাইনো অ্যাসিড, সিট্রালিন, লাইকোপেন, ফেনলিক যৌগ, ফ্ল্যাভোনয়েডসহ আরও নানা পুষ্টি উপাদান। তরমুজের খোসার উপকারিতা গুলো নিচে আলোচনা করা হলো।

আরো পডুন ঃ কালো আঙ্গুর খাওয়ার উপকারিতা - কালো আঙ্গুর খাওয়ার অপকারিতা

তরমুজের লাল উপাদান বাদে যে সাদা উপাদান রয়েছে সেটিকে তরমুজের খোসা হিসেবে খাওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে বাইরের দিকে যে সবুজ অংশ রয়েছে সেটি ফেলে দেওয়াই ভালো অন্যথায় পেটের গোলযোগ দেখা দিতে পারে।তরমুজের খোসার উপকারিতা গুলোর মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ, তরমুজের খোসা ওজন কমাতে সাহায্য করে এছাড়াও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে, উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করতে এবং ত্বকের সুস্থতায় তরমুজের খোসার উপকারিতা অপরিসীম।

তরমুজের জুসের উপকারিতা

তরমুজের উপকারিতা কি তা আমরা উপরে আলোচনা করেছি এখন আমরা জেনে নেব তরমুজের জুসের উপকারিতা সম্পর্কে।আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা তেমন ফল খেতে পছন্দ করেন না আবার অনেকে আছেন যারা বিচির কারণে তরমুজ খেতে তেমন পছন্দ করেন না। সেই ক্ষেত্রে তারা তরমুজের জুস খেতে পারেন। তরমুজের জুস এর মধ্যেও তরমুজে থাকা যেসব উপাদান সেগুলো একই পরিমানে বিদ্যমান। আবার তরমুজের সাথে যদি আপনি তরমুজের বিচি একই সাথে ব্লেন্ডারে ব্লেন্ড করে খেতে পারেন তাহলে তরমুজের পুষ্টি এবং তরমুজের বিচির পুষ্টি একই সাথে পেয়ে যাবেন।তরমুজের জুসের উপকারিতা গুলো নিচে আলোচনা করা হলো।

ছবিঃ তরমুজের জুস। 

  • আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা গরমের দিনে বাইরে কাজ করেন। বাইরে কাজ করলে ঘাম এর ফলে প্রচুর পরিমাণে পানি আমাদের শরীর থেকে বের হয়ে যায়। তরমুজের ৯০ শতাংশই পানি। তাই তরমুজের জুস খেলে আমাদের শরীরে পানির চাহিদা মিটবে একই সাথে শরীর ডিহাইড্রেশন থেকে মুক্তি পাবে।
  • তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ, বিটা ক্যারোটিন।আমাদের সবারই জানা, বিটা ক্যারোটিন চোখ ভালো রাখে। 
  • তরমুজে বিদ্যমান ভিটামিন ‘এ’ দেহের ত্বকের জন্য উপকারী।ভিটামিন ‘এ’ ত্বককে ক্ষতিকর ইনফেকশন থেকে রক্ষা করে ত্বকের সুরক্ষা দেয়। তরমুজের জুস খেলে ত্বক উজ্জ্বল দেখায়।
  • তরমুজে বিদ্যমান ভিটামিন বি৬, ভিটামিন বি১ শরীরে এনার্জি তৈরিতে সাহায্য করে এবং শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে।
  • তরমুজের জুস দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে সহায়তা করে।
  • তরমুজের জুস হজমে সহায়তা করে এছাড়াও কিডনিতে পাথর হওয়ার ঝুঁকিও কমায়।

তরমুজের অপকারিতা | তরমুজ খেলে কি ক্ষতি হয়

তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা গুলোর মধ্যে আমরা এখন জেনে নেব তরমুজের অপকারিতা বা তরমুজ খেলে কি ক্ষতি হয় সেই সম্পর্কে। একজন প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তি দিনে 200 গ্রাম তরমুজ খেতে পারেন এতে তেমন কোন ক্ষতি হবে না। আমরা উপরে দেখেছি অল্প পরিমাণে তরমুজ খাওয়া খুবই উপকারী। কিন্তু পরিমাণের চেয়ে বেশি খেয়ে নিলে অনেক সময় তরমুজ ক্ষতির কারণ হতে পারে।তরমুজ খেলে কি ক্ষতি হয় সেগুলো নিচে আলোচনা করা হলোঃ

  • তরমুজের পুষ্টি উপাদান গুলোর মধ্যে একটি হলো ফাইবার। ফাইবার যেমন হজমে সহায়তা করে ঠিক তেমনি পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত গ্রহণ করলে ডায়রিয়াসহ পেটের নানা ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • যারা আগে থেকে কিডনির সমস্যায় ভুগছেন তাদের তরমুজ খাওয়া উচিত নয়।
  • যে সকল মানুষের আগে থেকে ডায়াবেটিস এর মতো সমস্যা রয়েছে তাদের বেশি পরিমাণে তরমুজ খাওয়া উচিত নয়।কারণ তরমুজের অল্প পরিমাণে সুগার থাকে। তরমুজ অল্প পরিমাণে খেলে ডায়াবেটিস রোগীদের তেমন কোনো সমস্যা হবে না কিন্তু পরিমাণের চেয়ে বেশি খেয়ে নিলে ডায়াবেটিস রোগীদের সুগারের পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে।
  • নিয়মিত মদ্যপান করেন যাঁরা তাদের জন্য তরমুজ একেবারেই স্বাস্থ্যকর নয়। কারণ, তরমুজের রাসায়নিক উপাদান লাইকোপিন অ্যালকোহলের সঙ্গে মিশে লিভারের প্রভূত ক্ষতি করে।
  • আমরা উপরে দেখেছি তরমুজে পানির পরিমাণ ৯০ শতাংশ। গরমের দিনে তরমুজ খেলে ডিহাইড্রেশন এর মত সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। কিন্তু পরিমাণের চেয়ে অতিরিক্ত খেয়ে নিলে ওভার হাইড্রেশন হতে পারে এর ফলে কিডনি সমস্যা দেখা দিতে পারে।
  • আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যাদের উচ্চ রক্তচাপ আছে, তাদের বেশি তরমুজ খাওয়া উচিত নয়। কারণ তরমুজে প্রচুর পরিমাণে পটাসিয়াম থাকে যা রক্তচাপ কমাতে পারে এবং কার্ডিওভাসকুলার সমস্যা সৃষ্টি করতে পারে।

তরমুজ খেলে কি হয়  | খালি পেটে তরমুজ খেলে কি হয়

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সঠিকভাবে জানেন না খালি পেটে তরমুজ খেলে কি হয় তাদের সুবিধার্থে এখন আলোচনা করব খালি পেটে তরমুজ খেলে কি হয় সেই সম্পর্কে। 

তরমুজ খেলে আমাদের শরীরে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন হয়। যেমন কেউ যদি পানিশূন্যতায় ভোগেন তরমুজ খাওয়ার মাধ্যমে পানিশূন্যতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। এ ছাড়াও অনেকে মনে করতে পারেন খালি পেটে তরমুজ খেলে গ্যাস হতে পারে। কিন্তু এই ধারণাটি ভুল। তরমুজ এমন একটি ফল যা সকালে খালি পেটে খাওয়া যেতে পারে। কারণ গরমকালে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের অভাব হয়। এই ফল সেই অভাব দূর করতে পারে। সকালে খেলেই উপকার বেশি পাওয়া যায়। এছাড়াও সকালে খালি পেটে তরমুজ খেলে সারাদিনে শরীরে প্রয়োজনীয় পানির পরিমাণ মিটে যাবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন খালি পেটে তরমুজ খেলে কি হয়। 

তরমুজ খেলে কি গ্যাস হয়

আমরা এখন জেনে নেব তরমুজ খেলে কি গ্যাস হয় সেই সম্পর্কে। অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে তরমুজ খেলে কি গ্যাস হয়? উত্তর হচ্ছে না। তরমুজ খেলে গ্যাস হয় না। তরমুজে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে পানি যা হজম ক্ষমতা বাড়িয়ে তোলে। এ ছাড়া এতে রয়েছে ফাইবার যা কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করে ও খাবার হজম করিয়ে পেট পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে।

কিন্তু প্রত্যেকটি খাবার পরিমিত পরিমাণে খাওয়া ভালো।যেহেতু তরমুজে থাকে প্রচুর ফাইবার। তাই তরমুজ পরিমাণের চেয়ে বেশি খেলে ডায়রিয়াসহ পেটের নানা রোগে ভুগতে পারেন। এতে থাকা সরবিটল নামক উপাদান। অম্বল ও বদহজমের মতো সমস্যা বাড়ায়।প্রয়োজনের চেয়ে অতিরিক্ত তরমুজ খেয়ে নিলে অনেক সময় গ্যাস হতে পারে।

তরমুজ খেলে কি ওজন বাড়ে

আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা সঠিকভাবে অবগত নন তরমুজ খেলে কি ওজন বাড়ে সেই সম্পর্কে। তাদের সুবিধার্থে এখন দেখে নেব তরমুজ খেলে কি ওজন বাড়ে। উত্তর হলো না। তরমুজ খেলে ওজন বাড়ে না বরং তরমুজ খেয়ে ওজন কমানো সম্ভব।

চলুন প্রথমেই জেনে নিই তরমুজ খেলে কেন ওজন বাড়ে না। আমরা যদি তরমুজের পুষ্টিগুণ বিবেচনা করি তাহলে দেখতে পাই ১০০ গ্রাম তরমুজে মাত্র ৩০ ক্যালোরি থাকে। এবং এতে ওজন বাড়ানোর মত কোন ধরনের চর্বি বা ফ্যাট থাকে না। তরমুজের ৯০ শতাংশ পানি যা ওজন কমাতে সাহায্য করে বলে জানা যায় বিভিন্ন গবেষণায়। এছাড়াও এটি আর্জেনাইন নামক অ্যামিনো এসিডের উৎকৃষ্ট উৎস যা চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। এটি দেহকে হাইড্রেটেড রাখে ও দীর্ঘ সময় পর্যন্ত ক্ষুধা হ্রাস করে।

তরমুজ খেলে কি ঠান্ডা লাগে

অনেক সময় অনেকের মনেই প্রশ্ন থাকে তরমুজ খেলে কি ঠান্ডা লাগে? অনেকে যেমন মনে করেন কলা খেলে ঠান্ডা লাগতে পারে তেমনি মনে করেন তরমুজ খেলে ঠান্ডা লাগে। কিন্তু তাদের এই ধারণাটি ভুল। তরমুজ খেলে কি ঠান্ডা লাগে এর উত্তর হলো না।তরমুজের মধ্যে এমন কোন উপাদান নেই যার ফলে তরমুজ খেলে ঠান্ডা লাগে। কিন্তু আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন গরমের দিনে তরমুজ কে ফ্রিজে রেখে ঠান্ডা করে খেতে পছন্দ করেন। তরমুজ ফ্রিজে রাখলে অনেক সময় ঠান্ডা লাগতে পারে। তবে স্বাভাবিক অবস্থায় বাইরে রেখে তরমুজ খেলে ঠান্ডা লাগে না। 

শেষ কথাঃ তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা | তরমুজের উপকারিতা কি

প্রিয় পাঠক আমরা এই পোস্টের একদম শেষ দিকে চলে এসেছি। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন যারা তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে জানতে চান তাদের সুবিধার্থে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করেছি তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা, তরমুজের উপকারিতা কি, তরমুজের স্বাস্থ্য উপকারিতা, তরমুজের বিচির উপকারিতা, তরমুজের খোসার উপকারিতা, তরমুজের জুসের উপকারিতা, তরমুজের অপকারিতা, তরমুজ খেলে কি ক্ষতি হয়, তরমুজ খেলে কি হয়, তরমুজ খেলে কি গ্যাস হয়, তরমুজ খেলে কি ওজন বাড়ে, তরমুজ খেলে কি ঠান্ডা লাগে, খালি পেটে তরমুজ খেলে কি হয় ইত্যাদি বিষয়গুলি সম্পর্কে।

পোষ্ট টি আপনার কাছে উপকারী মনে হলে শেয়ার করুন আপনার আত্মীয়-স্বজন অথবা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে যারা তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত নয়। তারা যেন এই পোস্ট টি পড়ে তরমুজের উপকারিতা ও অপকারিতা এবং তরমুজের উপকারিতা কি সেই সম্পর্কে জেনে নিতে পারে খুব সহজেই।১৬৮২১ 

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩