কান ব্যথার ঘরোয়া সমাধান – বাচ্চাদের কানে ব্যাথা হলে করণীয়
করণীয় কি? যদি না জেনে থাকেন তবে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি
জানতে পারবেন কান ব্যথার ঘরোয়া সমাধান – বাচ্চাদের কানে ব্যাথা হলে করণীয়
সম্পর্কে। আমরা অনেকেই কান ব্যথার ঘরোয়া সমাধান সম্পর্কে জানতে চাই। আপনিও যদি
বাচ্চাদের কানে ব্যাথা হলে করণীয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে চলুন জেনে নেয়া যাক
কান ব্যথার ঘরোয়া সমাধান – বাচ্চাদের কানে ব্যাথা হলে করণীয় সম্পর্কে
বিস্তারিত।
আপনি যদি কান ব্যথার ঘরোয়া সমাধান – বাচ্চাদের কানে ব্যাথা হলে
করণীয় সম্পর্কে জানতে চান তাহলে এই পর্বটি আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে
আপনি জানতে পারবেন কান ব্যথার ঘরোয়া সমাধান এবং বাচ্চাদের কানে ব্যাথা হলে
করণীয় সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কান ব্যথার ঘরোয়া সমাধান –
বাচ্চাদের কানে ব্যাথা হলে করণীয় সম্পর্কে বিস্তারিত।
পোষ্ট সূচিপত্রঃ কান ব্যথার ঘরোয়া সমাধান – বাচ্চাদের কানে ব্যাথা হলে
করণীয়
কান ব্যথার ঘরোয়া সমাধান
আপনার জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক কান ব্যথার ঘরোয়া
সমাধান সম্পর্কে। প্রাণের ব্যথা যন্ত্রণায় কষ্ট না পেয়ে খুঁজে দেখুন রান্নাঘরে
সমাধান রয়েছে সেখানে। এই পর্বের মাধ্যমে জেনে নিন কিছু কানে ব্যথার ঘরোয়া
সমাধান।
-
অলিভ অয়েলঃ কানে ব্যথা সারাতে ভালো কাজ করে অলিভ অয়েল। কানে
ব্যথা করলে তিন থেকে চার ফোটা অলিভ অয়েল ঢেলে দেন। অথবা অলিভ অয়েল কটন বাট
ভিজিয়ে কানের ফুটাই চেপে ধরে রাখুন। দেখবেন আস্তে আস্তে কানের যন্ত্রণা কমে
যাচ্ছে। -
রসুনঃ যেকোনো রকম ব্যথা বেদনা উপশমে ভালো কাজ করে রসুন। দুই
টেবিল চামচ তিলের তেলের মধ্যে এক চা চামচ থেত করা রসুন দিয়ে ফুটিয়ে নিন। এই
তেল ঠান্ডা করে দুই থেকে তিন ফোঁটা কানে ঢালুন। এভাবেও আপনার কানের অতিরিক্ত
যন্ত্রণা অনেকটাই কমিয়ে আনবে। -
পেঁয়াজঃ পেঁয়াজ রস গরম করে দুই থেকে তিন ফোঁটা কানে ঢালুন।
অথবা পেয়াজ থেঁতো করে পাতলা কাপড়ের জোরে কানের চেপে ধরে রাখুন। -
হট ওয়াটার বোতলঃ আমাদের সকলের জানা রয়েছে যে যে কোন ব্যথায়
গরম শেক দিলে আরাম লাগে। গরম পানির বোতল তোয়ালে জড়িয়ে ব্যথা কানে চেপে ধরে
রাখুন। এই পদ্ধতির মাধ্যমে আপনার ঘরোয়া উপায় কানের যন্ত্রণা ভালো হতে
পারে। -
আদাঃ আদা থেকে রস বের করে কানে ঢেলে দেন। ইনফেকশন কমবে অথবা দুই
টেবিল চামচ আদার অলিভ অয়েল এর সঙ্গে এক চা চামচ আদার রস মিশিয়ে পাঁচ থেকে
দশ মিনিট রাখুন। পরবর্তীতে এই তেল কানে ঢালুন। দেখবেন আপনার কান ব্যথা
অনেকটাই কমে গেছে। -
তুলসিঃ কয়েকটা তুলসী পাতা বেটে রস বের করে নেন। এ রস তিন থেকে
চার ফোঁটা কানে ঢালুন। দিনে দুই থেকে তিনবার করলেই কানের ব্যথা অনেকটাই কমে
যাবে। -
নিম পাতাঃ নিম পাতার রস বের করে ড্রপার দিয়ে কানে ঢালতে হবে।
অথবা আগের মতই নিম তেল এ কটন বাড ভিজে কানে চেপে ধরে রাখুন এভাবেও অনেকটা
কানের ব্যথা দূর করা সম্ভব। -
হেয়ার ড্রোয়ারঃ হালকাভাবে পানিতে গোসল করে নিতে হবে। তোয়ালে
দিয়ে কান না মুছে ব্লো ড্রয়ার দিয়ে কান শুকাতে থাকুন। সারা কান গরম হাওয়া
ছড়িয়ে গিয়ে ব্যথা কমে যাবে।
আশা করি উপরোক্ত মাধ্যমের মাধ্যমে আপনি খুব সহজেই কান ব্যথার ঘরোয়া সমাধান
বের করতে পারবেন এবং আপনার উপকার হবে।
বাচ্চাদের কানে ব্যাথা হলে করণীয়
হ্যাঁ আপনি সঠিক জায়গায় এসেছেন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি জানতে পারবেন বাচ্চাদের
কানে ব্যথা হলে করণীয় কি সেই সম্পর্কে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া
যাক বাচ্চাদের কানে ব্যাথা হলে করণীয় কি? কান ব্যথায় শিশু অস্থির হলে ঘাড়
শক্ত হলে ক্লান্ত হয়ে নিস্তেজ হয়ে পড়লে তৎক্ষণাৎ জরুরী ভিত্তিতে হাসপাতালে
নিয়ে যেতে হবে এবং ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে। শিশুদের কানে ব্যথা হলে প্রথম
অবস্থাতে আপনি যা করবেনঃ
-
জ্বর ও ব্যথার জন্য বেদনা নাশক ওষুধ যেমনঃ প্যারাসিটামল আইবুপ্রোফেন দিয়ে
চিকিৎসা করা হয়ে থাকে। -
ইনফেকশন থাকলে উপযুক্ত এন্টিবায়োটিক দিতে হবে। কানের ভেতর শুকনো রাখতে হবে
এবং কানে পানি যেন না যায় সেদিকে সতর্ক থাকতে হবে। -
ব্যাথা সহ যদি কান দিয়ে পুঁজ বা রক্ত মিশ্রিত পানি পড়ে তবে কানের ড্রপ
দেওয়া যেতে পারে। এক্ষেত্রে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে হবে।
অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে কান চুলকানো বা কচলানো যাবে না। কটন বাড বা অন্য কিছু
দিয়ে কান পরিষ্কার করবেন না। কানে পানি ঢোকানো যাবে না। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে অল্প
অল্প করে কিছুক্ষণ পর পর খাবার দিন। তুুইংগাম চিবানো ও বারবার ঢক গিলুন। আশা করি
আপনি বুঝতে পেরেছেন বাচ্চাদের কানে ব্যাথা হলে করণীয় সম্পর্কে।
কানে ব্যথা কমানোর উপায়
সহকারে পড়ুন। এই পর্বের মাধ্যমে আপনি কানে ব্যথা কমানোর উপায় সম্পর্কে জানতে
পারবেন। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক কানে ব্যথা কমানোর উপায়। আসলে কানে ব্যথা হয়
সাধারণত ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ হলে। পুরনো সর্দি কাশি থেকেও কানে ব্যথা হতে পারে।
আবার গোসল করতে গিয়ে কানে পানি ঢুকে গিয়েও টনটন করতে পারে। অতিরিক্ত কানে ব্যথা
হলে আপনাকে চিকিৎসা অথবা চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। তার আগে প্রচন্ড যন্ত্রণা
কমিয়ে একটু স্বস্তি পেতে ঘরোয়া কিছু টেকনিক ব্যবহার করবেন। যেমনঃ
-
হাইড্রোজেন পার অক্সাইড ড্রপঃ যেকোনো ওষুধের দোকানে হাইড্রোজেন
পার অক্সাইড পাবেন। কানের ইনফেকশন কমিয়ে পুজ শুকাতে খুব ভালো কাজ করে এই
ড্রপ। ড্রপার এ করে তিন চার ফোঁটা দ্রবণ ব্যথার কানে দিয়ে ওভাবেই শুয়ে
থাকুন কিছুক্ষণ। তারপর মাথা অন্যদিকে কাত করে কানের ভেতরে তরলটা বের করিয়ে
দেন। দিনে বেশ কয়েকবার করতে হবে। ধীরে ধীরে সংক্রমণ কমে বাধাও কমে যাবে। -
ভিনিগার সলিউশনঃ ভিনিগারের এসিড কানের সংক্রমণ কমাতে পারে।
সমপরিমাণ সাদা ভিনেগার আর রাবিং অ্যালকোহল নিন একটা পাত্রে। ড্রপার দিয়ে
সংক্রমিত কানে দুই তিন ফোটা দিন। ৫ মিনিট ওভাবেই শুয়ে থাকুন তারপর আগের মতই
মাথা অন্যদিকে কাত করে বের করে দিন। -
কান শুকনো রাখুনঃ গোসলের সময় কানে যেন কোনো রকম ভাবেই পানি
ঢুকতে না পারে। সেদিকে খেয়াল রাখতেই হবে। গোসল করতে যাওয়ার আগে কানের
পেট্রোলিয়াম জেলি মাখানো তুলো গুজে নিন।
কানে রসুন দিলে কি হয়
জন্য। এই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক কানে রসুন দিলে কি হয়। শরীরে যে
কোন ব্যথা যদি আপনার হয় তবে এই ক্ষেত্রে আপনার রসুনের ব্যবহার করতে পারেন।
মানবদেহে যে কোন স্থানে ব্যথা হলে আপনার কানের রসুন দিতে পারেন। ব্যথার জন্য
রসুন একটি মহা ঔষুধ। এছাড়াও আপনার যদি মাইগ্রেন এবং মাথা ব্যাথা সমস্যা থেকে
থাকে তবে রসুনের ব্যবহার অপরিহার্য। আপনার যদি মাইগ্রেন এবং মাথা ব্যথার সমস্যা
থেকে থাকে তবে রসুনের এক টুকরো আপনার কানে ঢুকিয়ে দিন তবে অবশ্যই সতর্ক থাকতে
হবে রসুন যেন সম্পূর্ণভাবে কানের মধ্যে ঢুকে না যায়।
পরিবর্তন করে দেন। এভাবে দিনে ২-৩ বার ব্যবহার করলে আপনার মাইগ্রেন বা
মাথাব্যথা সমস্যা দূর হবে। এ ছাড়া আপনার যদি হাত পায়ে ব্যথা এবং কানেও ব্যথা
হয় তাহলে এক টুকরো রসুন আপনার কানের পরিমাপে কেটে নিন। তারপরে কানের মধ্যে
কিছুক্ষণ রেখে দেওয়ার পর আপনি ফল বুঝতে পারবেন। আপনার কানের ব্যথা বা অন্যান্য
স্থানের ব্যাথা অনেকটাই কমে যাবে। আশা করি বুঝতে পেরেছেন কানে রসুন দিলে
কি হয় সেই সম্পর্কে।
ঠান্ডা জনিত কানে ব্যথা
এর করনীয়তা কি। আপনি যদি ঠান্ডা জনিত কানে ব্যথা এবং করণীয় সম্পর্কে জানতে
চান তাহলে এই পর্বটি মনোযোগ সহকারে পড়ুন। চলুন জেনে নেওয়া যাক ঠান্ডা জনিত
কানে ব্যথা সম্পর্কে। শীতকালে হঠাৎ কান ব্যথা শুরু হওয়া বিরল কিছু নয়। বিশেষ
করে ঠান্ডা লাগলে শিশুদের হঠাৎ কান ব্যথা শুরু হতে পারে। এই নিয়ে ভয়ের কিছু
নাই। শীতকালে বেশিরভাগ কান ব্যথা ঠান্ডা জনিত। তাই ঠান্ডা লাগাবেন না।
প্রয়োজনে হালকা গরম পানি পান করতে হবে। শীতকালে কান ব্যথা হলে সবচেয়ে বড় এবং
সহজ চিকিৎসা হলো কানের পেছনে গরম শেখ দেওয়া। এক টুকরা পরিষ্কার কাপড় গরম
পানিতে চুবিয়ে বা গরম করে কানের পেছনে শেক দিন। সাধারণত প্যারাসিটামল বা
ব্যথার ওষুধ খেতে পারেন। ধূমপান অথবা থেকে দূরে থাকুন। আশা করি জানতে
পেরেছেন ঠান্ডা জনিত কানে ব্যথা কারণ ও করণীয় সম্পর্কে।
কানের ব্যথার ওষুধের নাম বাংলাদেশ
বাংলাদেশের কানের ব্যাথার ওষুধের নাম জানতে চাচ্ছেন? তাহলে এই পর্বটি আপনার
জন্যই পর্বের মাধ্যমে চলুন জেনে নেওয়া যাক কানের ব্যাথার ওষুধের নাম বাংলাদেশ
বা বাংলাদেশের কানের ব্যাথার ওষুধের নাম সম্পর্কে।
যেমনঃ
- clofenac-50/100mg
- a-fenac-sr-50/100mg
- voltalin-sr-50/100mg
প্রতিদিন ১+০+১ করে খাওয়ার পর অর্থাৎ ভরা পেটে। প্রয়োজন অনুযায়ী
সেব্য।
পারেন। যেমনঃ
- Erocin-500mg
- Erythrox-500mg
শেষ কথা
হয়েছেন কান ব্যথার ঘরোয়া সমাধান – বাচ্চাদের কানে ব্যাথা হলে করণীয়
সম্পর্কে। কান ব্যথার ঘরোয়া সমাধান বা উপায় এবং বাচ্চাদের কানে ব্যথা হলে কি
কি করণীয় সেই সম্পর্কে আপনার যদি কোন মতামত থেকে থাকে তবে অবশ্যই কমেন্ট করে
জানাবেন এবং আজকের পর্বটি ভাল লেগে থাকলে অবশ্যই বন্ধুদের মাঝে শেয়ার করবেন।