মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায় – মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়
আজকের এই পোস্টে আমরা জানবো মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায়, মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে। অনেকেই আছেন যারা নিজের মোবাইল হ্যাক নিয়ে চিন্তিত থাকেন মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত নন তাদের সুবিধার্থে এই পোস্টে বিস্তারিত আলোচনা করব মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে। এছাড়াও পোস্টটি পড়ে আরো জানতে পারবেন মোবাইল হ্যাক হলে বোঝার উপায়, মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায়, কিভাবে অন্যের মোবাইল হ্যাক করা যায় , কিভাবে নাম্বার হ্যাক করা যায়, কিভাবে মোবাইল ফোন হ্যাক করা যায় ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে।
তাহলে চলুন আর দেরি না করে জেনে নিন, মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়, মোবাইল হ্যাক হলে বোঝার উপায়, মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায়, কিভাবে অন্যের মোবাইল হ্যাক করা যায়, কিভাবে নাম্বার হ্যাক করা যায়, কিভাবে মোবাইল ফোন হ্যাক করা যায় ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে।
পোস্ট সূচিপত্রঃ
- মোবাইল হ্যাক হলে বোঝার উপায়
- কিভাবে নাম্বার হ্যাক করা যায়
- মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায় | কিভাবে মোবাইল ফোন হ্যাক করা যায়
- মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়
- শেষ কথাঃ | মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায় | মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়
মোবাইল হ্যাক হলে বোঝার উপায়
আমরা এখন জেনে নেব মোবাইল হ্যাক হলে বোঝার উপায় কি সেই সম্পর্কে। বর্তমান সময়ে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। আমাদের দৈনন্দিন জীবনের বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ব্যবহার করতে হয়। অ্যাপস ব্যবহারের এই সুযোগটি নিয়ে থাকে হ্যাকাররা। আমাদের মধ্যে অনেকেই আছেন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেন কিন্তু মোবাইল হ্যাক হলে বোঝার উপায় সম্পর্কে সঠিকভাবে অবগত নন তাদের সুবিধার্থে মোবাইল হ্যাক হলে বোঝার উপায় গুলো সম্পর্কে আলোচনা করবঃ
অজানা অ্যাপ ইন্সটল হয়ে যাওয়াঃ
মোবাইল হ্যাক হলে বোঝার উপায় গুলোর মধ্যে প্রথমটি হলো আমাদের দৈনন্দিন জীবনে বিভিন্ন কাজে আমরা বিভিন্ন ধরনের অ্যাপ্লিকেশন ইনস্টল করে থাকি। কিন্তু আমরা যদি খেয়াল করি অনেক সময় কিছু অজানা অ্যাপ্লিকেশন হঠাৎ করেই আমাদের মোবাইলে ইনস্টল হয়ে গেছে তাহলে বুঝতে হবে ফোন হ্যাক হয়েছে। কোন একটি ভাইরাসের মাধ্যমে আপনার মোবাইলে অজানা অ্যাপসটি ইন্সটল হয়েছে।
ব্যাটারি চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়াঃ
অনেকদিন ধরে একটি ফোন ব্যবহার করলে ব্যাটারি চার্জ দ্রুত শেষ হবে এটি স্বাভাবিক। সেই ক্ষেত্রে চেক করতে হবে ব্যাটারি নষ্ট হয়ে গিয়েছে কিনা। ব্যাটারি ঠিক আছে কিন্তু হঠাৎ হঠাৎ চার্জ দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে এর পেছনে কারণ হলো আপনার ফোনটি অন্য কেউ পেছন থেকে নিয়ন্ত্রণ করছে এর ফলে ব্যাকগ্রাউন্ডে কোন কিছু প্রসেস হচ্ছে এর ফলে আপনার ফোনের ব্যাটারি চার্জ দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে। এমন লক্ষণটি লিখলে বুঝতে হবে ফোনটি হ্যাক হ্যাক হয়েছে সম্ভাবনা।
ফোন গরম হয়ে যাওয়াঃ
অতিরিক্ত ফোন ব্যবহার করলে বা গেম খেললে ফোন গরম হওয়া স্বাভাবিক কিন্তু অনেক সময় আপনি খেয়াল করবেন আপনি ফোনটি ব্যবহার করছেন না রেখে দিয়েছে কিন্তু তবুও ফোনটি গরম হচ্ছে তার মানে ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে কিছু চলছে এর ফলে ফোন গরম হচ্ছে এমন লক্ষণ দেখা দিলে ফোন হ্যাক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
বেশি বেশি অ্যাড আসাঃ
একটি ফোন অনই দিন ধরেই ব্যবহার করছেন কিন্তু হঠাৎ করে খেয়াল করছেন বেশি বেশি অ্যাড আসছে যে কোন অ্যাপস ওপেন করলেই অ্যাড আসছে এমন হলে বুঝতে হবে ফোনটি হ্যাক হয়েছে। সেই ক্ষেত্রে সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে।
মোবাইল ডেটা বেশি বেশি ব্যবহার হওয়াঃ
আমরা আমাদের প্রয়োজনে ইন্টারনেট ডেটা ব্যবহার করি কিন্তু আপনি যদি হঠাৎ করে খেয়াল করেন যে ইন্টারনেট ব্যবহার না করা সত্ত্বেও আপনার কেনা ইন্টার্নেট প্যাক এর ডেটা হঠাৎ করেই শেষ হয়ে যাচ্ছে তাহলে বুঝতে হবে ব্যাকগ্রাউন্ডের কোন অ্যাপ আপনার ফোনের তথ্য হ্যাকারদের কাছে পাঠাচ্ছে এমন হলে সাবধান হোন।
হঠাৎ হঠাৎ অ্যাপ্লিকেশন বন্ধ হয়ে যাওয়াঃ
যদি মোবাইল ফোন ব্যবহারের সময় লক্ষ্য করেন যে হঠাৎ করে যে কোন এপ্লিকেশন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে আপনি সেই অ্যাপ্লিকেশনটি আপডেট দেয়ার পরেও ঠিক হচ্ছে না তারমানে আপনার কোনটি কোন ম্যালওয়্যার তারা এফেক্টেড হয়েছে।
ফোন স্লো হয়ে যাওয়াঃ
আপনি যদি হঠাৎ করে খেয়াল করেন যে আপনার ব্যবহার করা মোবাইল ফোনটি আগের চেয়ে অনেক স্লো হয়ে যাচ্ছে। কোন এপ্লিকেশন ওপেন করার পর ওপেন হতে অনেক সময় লাগছে তার মনে বুঝতে হবে অন্য কোন ইনফেকটেড অ্যাপ আপনার মোবাইল ফোনের ব্যাকগ্রাউন্ডে চলছে এর ফলে আপনার মোবাইল ফোনটি স্লো হয়ে যাচ্ছে। তবে মোবাইল স্লো হয়ে যাওয়ার আরও একটি কারণ হলো আপনার র্যাম কম হওয়া এবং স্টোরেজ ফুল হয়ে যাওয়া। যদি র্যাম এবং প্রসেসর ভালো হয় তাহলে ফোন স্লো হওয়ার কোন সম্ভাবনা নাই এরপরেও যদি আপনার ফোনটি স্লো হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে আপনার ফোনটি কোন ম্যালওয়্যার এর দ্বারা ইনফেকটেড হয়েছে।
ফোন একা একাই কাজ করছেঃ
যদি কখনো খেয়াল করেন যে আপনার ফোনটিতে হঠাৎ করেই যে কোন এপ্লিকেশন ওপেন হয়ে যাচ্ছে বা ফোনের লাইট অন হচ্ছে, ফোনের সাউন্ড কম বেশি হচ্ছে ফোনের এমন আচরণ দেখা দিলে বুঝতে হবে আপনার ফোনটি অন্য কেউ নিয়ন্ত্রণ করছে।
উপরে আমরা মোবাইল হ্যাক হলে বোঝার উপায় গুলো সম্পর্কে কিছু বিষয় আপনাদের সাথে আলোচনা করেছি। যদি কোন কারনে আপনার মোবাইলটি উপরের লক্ষণগুলোর সাথে মিলে যায় তাহলে মোবাইল কি হ্যাক হয়েছে এমন সম্ভাবনা থেকেই যায় সেই ক্ষেত্রে আগে থেকেই সতর্ক থাকার পরামর্শ রইল।
কিভাবে নাম্বার হ্যাক করা যায়
আমরা এখন জেনে নেব কিভাবে নাম্বার হ্যাক করা যায়। আমি নিচে যে পদ্ধতিটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব এই পদ্ধতিতে আপনি উপকারও পাবেন আবার অন্যের নাম্বার হ্যাক করতে পারবেন।কিভাবে নাম্বার হ্যাক করা যায় এই পদ্ধতিটি নিচে আপনাদের সাথে শেয়ার করা হলো।
কিভাবে অন্যের নাম্বার হ্যাক করবেন তার জন্য লাগবে একটি রবি সিম। এরপর গুগল প্লে স্টোর থেকে আপনাকে নামিয়ে নিতে হবে মাই রবি অ্যাপস টি।
এরপর সেই অ্যাপসে একটি একাউন্ট করে নিতে হবে। মাই রবি অ্যাপস এ প্রবেশ করলে আমরা একটি অপশন পাই অ্যাড একাউন্ট।
অ্যাড একাউন্ট এই অ্যাড একাউন্ট অপশনটা আমরা দুই ভাবে ব্যবহার করতে পারি। আমাদের যদি একটি ফোন থাকে এবং সেই একই ফোনে আমরা অন্য একটি নাম্বার ব্যাবহার করতে চাই তাহলে অ্যাড একাউন্ট এ ক্লিক করলে আমরা আমাদের অন্য নাম্বার টি একই ফোনে ব্যবহার করতে পারব। এবং অন্য নাম্বার টির পুরোপুরি অ্যাক্সিস নিতে পারব।
কিন্তু এই একই পদ্ধতিটি কারো নাম্বার হ্যাক করার জন্য ব্যবহার করতে পারি। এই ক্ষেত্রে আপনার মোবাইলে মাই রবি অ্যাপ টি ইন্সটল করার পর অ্যাড একাউন্ট অপশনে গিয়ে আপনি যার নাম্বার হ্যাক করতে চান তার নাম্বারটি দিতে হবে। এরপর সেই নাম্বারে একটি ওটিপি যাবে সেই ওটিপি টি আপনার মোবাইলের অ্যাড একাউন্ট এর অপশন এর জায়গায় বসাতে হবে। ব্যাস আপনার কাজ শেষ। এই পদ্ধতি টির মাধ্যমে আপনি যে নাম্বারটি হ্যাক করতে চান সেই ব্যক্তি কার সাথে কথা বলছে, এসএমএস লিস্ট সহ আরো অনেক বিষয় জানতে পারবেন খুব সহজেই।
মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায় | কিভাবে মোবাইল ফোন হ্যাক করা যায়
আমরা এখন জেনে নেব মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায় সেই সম্পর্কে। অনেকেই আছেন যারা অন্যের ফোন হ্যাক করে বিভিন্ন গোপন তথ্য জানতে চান তাদের সুবিধার্থে এখন আলোচনা করব মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায় সেই সম্পর্কে। মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায় তার অনেকগুলো উপায় আছে। জিমেইল দিয়ে মোবাইল হ্যাক করা যায়, এই পদ্ধতিটি একটু জটিল তাই কিছু অ্যাপস আছে যেগুলো কারো মোবাইলে কোন ভাবে ইন্সটল করা গেলে সেই মোবাইলের কন্ট্রোল একজন ব্যক্তি সহজেই দিতে পারবে। তবে এই পোস্টে আমরা একটি অ্যাপস ইন্সটল এর মাধ্যমে কিভাবে অন্য মোবাইলের কন্ট্রোল নিবেন সেই হ্যাকটি জেনে নেব।
বর্তমানে বিভিন্ন ধরনের অ্যান্ড্রয়েড অ্যাপস রয়েছে অন্যের মোবাইল নিজের কন্ট্রোলে নেয়ার জন্য। কিন্তু বিভিন্ন অ্যাপস আছে যেগুলো গুগল প্লে স্টোর সাপোর্ট করে না এই জন্য বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে ডাউনলোড করতে হয় এর ফলে আপনি যার মোবাইল হ্যাক করতে চাচ্ছেন তার মোবাইলে যদি থার্ডপার্টি অ্যাপস ইন্সটল করেন সেই ক্ষেত্রে এই মোবাইলের কন্ট্রোল ঐসকল থার্ডপার্টি কোম্পানি কাছে চলে যেতে পারে। তাই গুগল প্লে স্টোর থেকে নামাতে পারবেন এমন একটি অ্যাপস আপনাদের সাথে শেয়ার করব। এই অ্যাপ্লিকেশনটির নাম Air Droid এটি গুগল প্লে স্টোরে পেয়ে যাবে। আপনি যার মোবাইলটি হ্যাক করতে চান অবশ্যই কিছুক্ষণ সময়ের জন্য তার মোবাইলটি আপনার কাছে থাকতে হবে।এরপর নিচের অ্যাপ্লিকেশনটি ইন্সটল করতে হবে।ইনস্টল করার প্রক্রিয়া নিচে দেখানো হলো।
ধাপ ১ঃ প্রথমে প্লে স্টোর থেকে অ্যাপসটি আপনাকে ডাউনলোড করে নিতে হবে। অ্যাপস টির নাম Air droid. গুগল প্লে স্টোরে গিয়ে সার্চ করলেই অ্যাপসটি আপনারা পেয়ে যাবেন। এরপর অ্যাপসটি ইন্সটল করে নিতে হবে। আপনাদের সুবিধার্থে নিচে অ্যাপসটি ছবি দেওয়া হল।
ধাপ ৪ঃ এখন নিচের মত একটি স্ক্রীন আসবে। এখন আপনার দেওয়া ই মেইল একাউন্টে একটি মেইল যাবে। সেখানে একটি ওটিপি যাবে। সেই ওটিপি টি নিচের ছবির মত ফাকা স্থানে বসিয়ে Verification and Sign up বাটনে ক্লিক করলেই আপনার একাউন্টটি ভেরিফাই হয়ে যাবে।
ধাপ ৫ঃ এর পরের ধাপে বেশকিছু পারমিশন চাইবে সেগুলো আপনাকে Allow করে দিতে হবে।এছাড়াও আপনি কি কি বিষয়ে একটি মোবাইলে অ্যাক্সেস করতে পারবেন এই সবকিছু পারমিশন অন করে দিতে হবে। নিচের ছবিটি দেখলে আপনারা বুঝতে পারছেন যে সব কিছু আপনি ওই মোবাইলের কন্ট্রোল করতে চান সেগুলো অন করে দিতে হবে। যে সকল অপশন আপনি অন করবেন সেগুলো আপনি সহজেই আপনার কম্পিউটার এর মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবেন।
এখন আপনার মোবাইলের সকল কাজ শেষ।
ধাপ ৬ঃ এরপর আপনাকে আপনার ল্যাপটপ অথবা ডেস্কটপ এ গিয়ে আরো একটি অ্যাপস ইন্সটল করতে হবে। এইজন্য আপনাকে গুগোল এ গিয়ে সার্চ করতে হবে Air droid for PC এরপর নিচের মত একটি স্ক্রীন আসবে। এই ওয়েবসাইটে গিয়ে আপনি অ্যাপটি নামিয়ে নিতে পারবেন খুব সহজেই। এরপর ডাউনলোড বাটনে ক্লিক করলেই অ্যাপসটি আপনি নামিয়ে নিতে পারবেন।
ধাপ ৭ঃ ডাউনলোড হয়ে গেলে এরপর ইনস্টল করার পালা। ইনস্টল করার ধাপগুলো খুবই সহজ শুধুমাত্র Next করে করে সহজেই ইন্সটল করা যাবে।
ধাপ ৮ঃ এরপর নিচের মত একটি স্ক্রীন আসবে। এখানে ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন ইন করতে হবে যেটি আপনি পূর্বে অন্যের মোবাইলে অ্যাপ্লিকেশনটি ইনস্টল করার সময় ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়েছিলেন সেই একই ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে এখানে সাইন আপ করতে হবে।
ধাপ ৯ঃ এখন নিচের মত একটি ইন্টারফেস আসবে। এখানে রিমোট কন্ট্রোল অপশন টির মাধ্যমে খুব সহজেই আপনি অন্যের মোবাইল কন্ট্রোল করতে পারবেন।
উপরে আমরা মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায় বা অন্যের মোবাইল কিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা যায় সেটি আলোচনা করলাম। উপরিউক্ত ধাপগুলো কেউ যদি সম্পন্ন করেন তাহলে সহজেই অন্যের মোবাইল নিয়ন্ত্রন করতে পারবেন।
মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়
উপরে আমরা মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায় সেই সম্পর্কে আলোচনা করেছি। এখন আমরা দেখে নেবো মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে। আমরা বিভিন্ন সময় দেখেছি বিভিন্ন মানুষের ব্যক্তিগত মোবাইল হ্যাক সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান এর ওয়েবসাইটের হ্যাক হয়ে যাওয়ার ঘটনা। আমরা অনেকেই জানি কিছুদিন আগে অ্যামাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস এর মোবাইল এ পেগাসাস নামক ভাইরাস এর দ্বারা এফেক্টেড হয়েছিল এবং হ্যাক হয়েছিল। সুতরাং বুঝতেই পারছেন আমাদের ব্যক্তিগত জীবনের কোনো তথ্য যেন হ্যাকারদের কাছে চলে না যায় তাই মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় জানা কতটা জরুরী।মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় গুলো নিচে আলোচনা করা হলো।
- মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় গুলোর মধ্যে প্রথমটি হলো আমরা প্রত্যেকেই হয়তো খেয়াল করি প্রতিমাসে আমাদের মোবাইলে একটি সিকিউরিটি আপডেট আসে। আমাদের ফোনটিকে হ্যাক থেকে মুক্ত করতে নতুন নতুন যেসব সিকিউরিটি আপডেট আসবে সেগুলো বন্ধ করে দিতে হবে।
- আমরা বিভিন্ন ফিচার বিভিন্ন কাজে অনেক সময়ই থার্ড পার্টি এপ্লিকেশন ব্যবহার করে থাকি। আমাদের থার্ড পার্টি এপ্লিকেশন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। আমরা যে সকল অ্যাপ ব্যবহার করব সেগুলো গুগল প্লে স্টোর থেকে অথবা অ্যাপেলের অ্যাপস্টোর থেকে ডাউনলোড করব। এসব কোম্পানির নিজস্ব প্রটেক্টেড ব্যবস্থা থাকে। এর ফলে কোন থার্ড পার্টি আনসিকিউরড অ্যাপ এ সকল প্লাটফর্মে আপলোড ই করতে পারবেনা।
- যেসব ওয়েবসাইটে আমরা একটি তালা চিহ্ন দেখতে পাই যেসব ওয়েবসাইটে আমরা প্রবেশ করব। অন্য যেকোন আনসিকিউরড ওয়েবসাইটে আমরা খুব একটা প্রবেশ করব না।
- একটি ভালো আন্টি ভাইরাস অ্যাপ ইনস্টল করে নিতে পারেন গুগল প্লে স্টোর থেকে অ্যাপেল ইউজাররা অ্যাপ স্টোর থেকে।
- অনেক সময় আমরা বাইরের যেকোনো ওয়াইফাই নেটওয়ার্কে আমাদের ফোন কানেক্ট করে ফেলি এটি করা যাবে না মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় গুলোর মধ্যে এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপায়।
- আমরা অনেক সময় খেয়াল করি আমাদের ইমেইল এ বিভিন্ন অফারের নামে বিভিন্ন লিঙ্ক শেয়ার করা থাকে। এসব লিংকে ক্লিক করা থেকে থেকে বিরত থাকতে হবে। হতে পারে সেই লিঙ্ক এর মধ্যেই ভাইরাস লুকায়িত অবস্থায় আছে।
শেষ কথাঃ | মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায় | মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়
প্রিয় পাঠক আমরা এই পোস্টের একদম শেষ দিকে চলে এসেছি। অনেকেই আছেন যারা কিভাবে অন্যের মোবাইল হ্যাক করা যায় সেটি জানতে চান আবার অনেকে আছেন যারা মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে জানতে চান। তাদের সুবিধার্থে আমরা মোবাইল হ্যাক সম্পর্কিত বেশকিছু বিষয় যেমন, মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায়, মোবাইল হ্যাক হলে বোঝার উপায়, মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায়, কিভাবে অন্যের মোবাইল হ্যাক করা যায় , কিভাবে নাম্বার হ্যাক করা যায়, কিভাবে মোবাইল ফোন হ্যাক করা যায় ইত্যাদি বিষয়গুলো সম্পর্কে।
পোষ্ট টি আপনার কাছে উপকারী মনে হলে শেয়ার করুন আপনার আত্মীয়-স্বজন এবং বন্ধুবান্ধব দের সাথে যেন তারা সহজেই জেনে নিতে পারে মোবাইল কিভাবে হ্যাক করা যায় আবার মোবাইল হ্যাক থেকে বাঁচার উপায় সম্পর্কে।১৬৮২১